কৃষি ও মৎস্য প্রেমী বাঙালির কথা মাথায় রেখে সাগরদ্বীপে সমাপ্ত হল বিশেষ সম্মেলন

নবাব মল্লিক, সাগর দ্বীপ :

    বাংলা ও বাঙালি বলতে যে কথাটি প্রথম মাথায় আসে তারা হল ‘ মাছে ভাতে বাঙালি’ । বাঙালির সঙ্গে মাছ ও ভাতের যোগ নিবিড় । সেই মাছ ভাতের যোগান কিন্তু হয় বাংলার লক্ষ লক্ষ কৃষি জীবী মানুষের কাছ থেকে এবং মাছের যোগানের প্রায় পুরোটাই নির্ভর করে সাগর, নামখানা , রায়দিঘীর বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও খাঁড়ি থেকে । যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃষি ও মৎসচাষে এসেছে অনেক পরিবর্তন ,নতুন পদ্ধতিতে কৃষি ও মৎসচাষ করায় কম খরচে বেশি পরিমাণ উৎপাদন ও হচ্ছে । নতুন এই আধুনিক পদ্ধতি সরাসরি চাষিদের কাছে পৌঁছে দিতে ভারত সেবাশ্রম সংঘের উদ্যোগে সাগরদ্বীপে আয়োজিত হল এক কৃষি ও মৎসচাষের বিশেষ সম্মেলন ।
    অনুষ্ঠানটি আয়োজন করতে একটি বিশেষ দিন হিসাবে তারা বেছে নেয় নেতাজীর জন্মদিনের পূন্যক্ষণটি । অনুষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন সাগর উন্নয়ন আধিকারিক সুদীপ্ত মন্ডল । বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জিওলজিক্যাল সার্ভে ওফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানী ডঃ অমলেশ মিশ্র , রিজিওনাল মিউজিয়াম ওফ ন্যাশনাল হিস্ট্রি ওড়িশা এর প্রাক্তন বিজ্ঞানী প্রাণজলেন্দু রায় , সাগরের এডিও বিবেকানন্দ বাগ এছাড়াও ছিলেন সাগর পঙ্চায়েত সমিতির কৃষি সেচ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন কুমার প্রধান এবং আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ । কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক রত্ন পুরষ্কার প্রাপ্ত কৃষক নারায়ন মন্ডল ও শ্রীকন্ঠ মন্ডল।
    ভারত সেবাশ্রম সংঘের গঙ্গাসাগর শাখার প্রধান স্বামী জিতাত্মনন্দজী লোকমুখে যিনি নিমাই মহারাজ হিসাবে পরিচিত তিনি জানান “ভারত সেবাশ্রম সংঘ, সম্মেলনের স্থান হিসাবে গঙ্গাসাগরকে বেছে নিয়েছে তার প্রধান কারণ হল সাগর দ্বীপে প্রায় এক লক্ষ চল্লিশ হাজার মানুষের বাস তাদের জীবন ও জীবিকার একমাত্র মাধ্যম কৃষি ও মৎসচাষ , তাই সম্মেলনের স্থান হিসাবে তারা সাগর দ্বীপকেই বেছে নিয়েছেন ।” অনুষ্ঠানের শেষে ভারত সেবাশ্রম সংঘের গঙ্গাসাগর শাখা থেকে দরিদ্র ও উৎসাহী কৃষকদের কৃষি উপকরণ দিয়ে সাহায্য ও করা হয় ।