চুঁচুড়ার আইনুদ্দিন খান মনে করছেন, তালিবানরা যদি সরকার চালাতে আগ্রহী হন, তবে জনগণের উচিত তাঁদের সুযোগ দেওয়া

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ব্যবসার খাতিরে আফগানিস্তান ছেড়ে বহু কাবুলিওয়ালাই ভারতে বাস করছেন দীর্ঘদিন ধরে। চুঁচুড়া চকবাজারে কাবলি কুঠি নামে পরিচিত একটি বাড়িতে আজও প্রায় ১৩-১৪ জন কাবুলিওয়ালা বাস করেন। প্রায় কয়েক দশক ধরেই সেখানে থাকেন তাঁরা। অনেকের আবার ব্যবসা সূত্রে এ রাজ্যে এসে এখানেই বিয়ে করে পাকাপাকিভাবে রয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি আফগানিস্তানের পটভূমির পরিবর্তন হয়েছে।  আর তা নিয়েই মতামত জানালেন চুঁচুড়ার আইনুদ্দিন খান ও জামাল খানরা।

    চুঁচুড়ার আইনুদ্দিন খান ও জামাল খানদের আত্মীয়-স্বজনরা এখনও আফগানিস্তানে রয়েছেন। তাই কোনওরকম বিতর্কে না গিয়ে তাঁরা মনে করছেন, তালিবানরা যদি সরকার চালাতে আগ্রহী হন, তবে জনগণের উচিত তাঁদের সুযোগ দেওয়া। সময়ই বলে দেবে আফগান জনগণ কী চান, তাঁদের দাবি বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তালিবানরাও নিজেদের পরিবর্তন করেছে।

    আইনুদ্দিন খান জানান, তাঁরা শান্তি চান, শিক্ষা চান, দেশের উন্নতি চান। অন্যান্য দেশ যদি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে তবে আফগানিস্তানও এগিয়ে যাবে।

    আইনুদ্দিন কথায়, “নতুন তালিবান সরকার এসেছে তাই সময় দেওয়া দরকার, অপেক্ষা করতে হবে সুদিনের জন্য।” তাঁর দাবি, তালিবান যদি ১০ দিনে একটা সরকার ফেলে দিতে পারে, সেরকম জনগণের জল-রুটি ও কাজের যদি ব্যবস্থা না করতে পারে, তবে জনগণ পাঁচ দিনে এই সরকারকে ফেলে দিতে পারে। আইনুদ্দিনের মতে, এতদিন যাঁরা আফগানিস্তানের জন্য কাজ করে এসেছেন তাঁদের যদি ফিরিয়ে নিয়ে আসা না হয় তবে তালিবান সরকার চালাতে পারবে না। তালিবানদের মধ্যে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা কম।

    একটা প্লেন চালাতে গেলে শিক্ষা ও বুদ্ধির প্রয়োজন হয়। তা পাইলটের পক্ষেই সম্ভব। “বন্দুক দিয়ে তো আর প্লেন ওড়ানো যায় না!” বলেন আইনুদ্দিন। তাঁর মতে, কমপিউটার চালাতে গেলে শিক্ষিত ব্যক্তির দরকার হয়। তালিবানদের মধ্যে এই সব শিক্ষিত ব্যক্তিদের অভাব রয়েছে। তাই সরকার চালাতে গেলে শিক্ষিত ব্যক্তিদের, কাজের লোকদের ফিরিয়ে এনে সকলকে নিয়ে মিলেমিশে চলতে হবে। অন্যদিকে, সাড়ে তিন লক্ষ সেনা কীভাবে এত সহজে আত্মসমর্পণ করল, তা ভেবে পাচ্ছেন না জামাল খান। এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে বলে মনে করেন তিনি। জামাল খানের মতে, এখন অপেক্ষা করতে হবে। সময়ই বলবে জনগণ কী চান!