অযোধ্যার সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে নীরব কেন মমতা? প্রশ্ন বিজেপির

নতুন গতি প্রতিবেদক, কলকাতা : অতীতে নোট বাতিল অথবা জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা বাতিল ইস্যুতে সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় প্রসঙ্গে নীরব কেন তৃণমূল সুপ্রিমো? ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি শুনে তাঁর প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সেই কারণেই কি অযোধ্যা মামলার রায়দান প্রসঙ্গে এখন অবধি নিশ্চুপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতি নিয়ে প্রায়শই সরব হয়ে থাকেন বিজেপি। অযোধ্যা মামলায় রায় ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পরেই টুইটে মমতা জানান, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাবে সাইক্লোন বুলবুল। রাজ্য প্রশাসন ২৪ ঘন্টা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। কোনওরকম আপৎকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। বিশেষ কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে, মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ-এসডিআরএফ বাহিনী। স্কুল, কলেজ, ও আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে, এবং বিপন্ন উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অযোধ্যা রায় প্রসঙ্গে শীর্ষস্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ঘূর্ণিঝড়ের কবলে রাজ্য। গোটা প্রশাসন লড়ছে তা নিয়ে। তবে সুপ্রিম রায়ে মন্তব্য করাটা অবশ্য তৃণমূলের পক্ষে এই মুহুর্তে কিঞ্চিৎ অস্বস্তিকর! অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের রায়কে স্বাগত জানালে ভেঙে পড়তে পারে মমতার দীর্ঘদিনের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক। অন্যদিকে, হিন্দুত্ব ভাঙিয়ে রাজ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর, অযোধ্যা রায়দান ইস্যুতে সাবধানে পা ফেলতে চাইছে তৃণমূল। তাঁরা এই রায়কে স্বাগত জানালে, বা চুপ করে থাকলেও, আমাদের সংখ্যালঘু ভোটাররা অসন্তুষ্ট হবেন। আবার নিন্দা করলে ফের তোষণের অভিযোগ উঠবে।
এদিকে, রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর তৃণমূলের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, রাজ্যের শাসকদল জাতীয় নিরাপত্তা, সামাজিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে নীরব থাকতেই পছন্দ করে।