|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে কসবা থানাতে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের। তাদের পূজার থিম “পয়লা বৈশাখ ও পশ্চিমবঙ্গ দিবস” ঘোষণা করার দিনই কিভাবে বিজেপি রাজ্য অফিস সংলগ্ন অঞ্চলে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পক্ষে এবং দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার ঘর ভাঙার বিরুদ্ধে কারা পোস্টার দিয়েছে সেই দায় অখিল ভারত হিন্দু মহাসভান নয়।তাদের কথায় আমরা হলাম উনি নবান্ন সভাঘরে আমাদের যাওয়া, পয়লা বৈশাখের পক্ষে আমাদের কথা বলা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমার মাতৃসমা বলা বা মমতা দেবী আমার বক্তব্যের প্রশংসা করায় উনি রেগে গিয়ে আমাদের আক্রমণ করতে গিয়ে যে কদর্য ভাষার প্রয়োগ করলেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। উনি বলছেন আমরা দালাল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদলেহনকারী। সুকান্ত মজুমদার মিডিয়া বন্ধুদের বা গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সম্পর্কে যে কুরুচিকর কথা বলেছেন সেটাও অত্যন্ত নিন্দনীয়। আসলে ভোটে হেরে হেরে সুকান্ত মজুমদারেরা বোধ হয় “ভোটে হারা সিনড্রোম” নামে কোনো নতুন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সেটা চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলতে পারবেন। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা যদি সনাতনী জাতীয়তাবাদী মানুষদের জন্য কথা বলে, যদি বাংলা বিভাজনের বিরুদ্ধে কথা বলে বা যদি আমাদের পূজার থিম পশ্চিমবঙ্গ দিবস ও পহেলা বৈশাখ হয় তাহলে বিজেপির অত গাত্রদাহের কারণ কি ? উনি বলছেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা খায় না মাথায় দেয় ওনার জানা নেই। আসলে যে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা থেকে আরএসএস এর জন্ম সেই রাজনৈতিক দলকে আক্রমণ করতে গিয়ে এই রকম অর্বাচীনের মত মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সদস্যদের কথায় আপনি ভালো করে লেখাপড়া করুন সুকান্ত বাবু, আরএসএস এর শাখায় যান এবং হতেও পারে হয়তো শুভেন্দু অধিকারীর মত অসৎ লোকের সান্নিধ্যে এসে আপনার মতিভ্রম হচ্ছে। কারণ কথায় বলে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।