|
---|
জাকির হোসেন সেখ, ৩১মে, নতুন গতি, কলকাতা: কৃচ্ছ সাধনার পবিত্র মাহে রমজানে আজ ছিল শেষ শুক্রবার অর্থাৎ পবিত্র জুমাতুল বিদা। মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস দীর্ঘ দিন ধরে ইহুদিদের দখলে রয়েছে। পবিত্র সেই মসজিদকে মুক্ত করার দাবিতে রমজানের এই শেষ শুক্রবার অর্থাৎ পবিত্র ‘জুমাতুল বিদা’তেই একই সাথে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আল-কুদস দিবসও।
রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানের শেষ জুমা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকেন মুসলমানেরা। এমনিতেই মুসলমানদের কাছে সপ্তাহে জুমার দিন অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। তার উপর রমজানের মাস হওয়ায় এবং রমজানের শেষ জুমা হওয়ায় এই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। ফলে নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ সহ কলকাতার শতাধিক মসজিদে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মসজিদ ছাড়িয়ে আশপাশের রাস্তায়ও মুসল্লিরা কাতারবন্দী হয়ে নামাজ আদায় করেন। সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার গ্রাম থেকে গ্রামান্তরেও জুমার নামাজে ভীড় উপচে পড়ে।
‘জুমাতুল বিদা’কেই বিশ্বব্যাপী আল-কুদস দিবস হিসেবে পালন করা হয় এই কারণে যে, বায়তুল মুকাদ্দাস হচ্ছে ইসলামের প্রথম কিবলা এবং মক্কা মুআজজামাহ ও মদিনা মুনাওয়ারার পরে তৃতীয় পবিত্র স্থান। রাসূলে করিম সাঃ মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদুন্নব্বী ও বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদের উদ্দেশে মুসলমানদের সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রাসূলে করিম সাঃ এর হিজরতের পর বায়তুল মুকাদ্দাসই ইসলামের প্রথম কিবলা ছিল। বায়তুল মুকাদ্দাস দুনিয়ার জন্য অসংখ্য ভূখণ্ডের মতো কোনো সাধারণ ভূখণ্ড নয়। এ পবিত্র ঘর থেকেই খাতামুন্নাবীয়ীন হজরত মুহাম্মদ (সা.) মিরাজে গমন করেছিলেন।
বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ এবং আশপাশের এলাকা বহুনবীর স্মৃতি বিজড়িত। এই পবিত্র নাম শুধু একটি স্থানের সাথে জড়িত নয় বরং এই নাম সব মুসলমানের ঈমান ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এখানে রয়েছে অসংখ্য নবী-রাসূলের রওজা মোবারক। ওহি অবতরণস্থল এবং নগরী, নবীগণের দ্বীন প্রচারের কেন্দ্রভূমি। তাই এ পবিত্র নগরীর প্রতি ভালোবাসা প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত।
মুসলমানদের প্রথম কেবলা সেই বায়তুল মুকাদ্দাসই দীর্ঘদিন ধরে ইহুদিদের দখলে রয়েছে। পবিত্র সেই মসজিদকে মুক্ত করার দাবিতে রমজানের এই শেষ শুক্রবার অর্থাৎ পবিত্র ‘জুমাতুল বিদা’তেই একই সাথে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আল-কুদস দিবস।