ভোটার পরিচয়পত্র যাচাইয়ের কাজে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করল সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের হাতিয়াড়া শাখা

নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোটার পরিচয়পত্র যাচাইয়ের কাজে যাতে সকলেই সামিল হন, সে জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করল সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের হাতিয়াড়া শাখা। বিধানননগর পুরনিগমের অন্তর্গত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিনামূল্যে ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশনের কার্যক্রম করা হয় এই সংগঠনের উদ্যোগে।
সংগঠনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মহঃ নিজাম উদ্দিন, সহ সম্পাদক আহাম্মদ আলী মল্লিক বললেন, “জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সাধারণ মানুষকে আমরা এহেন পরিষেবা দিয়ে চলেছি। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটার পরিচয়পত্র যাচাইয়ের প্রচারও সংগঠনের তরফে করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আমরা এই প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং শেষ সময়সীমা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। যাতে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোন মানুষ ভোটার ভেরিফিকেশন থেকে বঞ্চিত না হন।”
এনআরসির গুজবে যখন সাইবার ক্যাফগুলি মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে, সে সময়ে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ভোটার যাচাইয়ের শিবিরে এলাকার মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
এনআরসির আতঙ্কে যখন বাংলার মানুষ আতঙ্কিত সেই পরিস্থিতিতে এনআরসি ও ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন যে সম্পূর্ণ ভিন্ন তাও প্রচার করছে এই সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সুষ্ঠভাবে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের হাতিয়াড়া কার্যালয় থেকে। বিষয়টি নিয়ে অহেতুক গুজব বা ভীতি যাতে না-ছড়ায় সে জন্য মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়েও বিভিন্ন কর্মশালা করছে এই সংগঠন।
প্রতিদিন সংগঠনের চার কর্মীর সহায়তায় ল্যাপটপের মাধ্যমে প্রায় কুড়িটা ফ্যামিলির ভোটার কার্ডের যাবতীয় কাজ সম্পূর্ন করা হচ্ছে বলে জানান সংগঠনের ওয়ার্ড সভাপতি মহঃ নিজাম উদ্দিন ও সহ সম্পাদক আহাম্মদ আলী মল্লিক।
প্রযুক্তিগত কারণে ভোটার ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া খানিকটা ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি করেন সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আখের আলি। তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে আবার সার্ভারের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। যার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকে আবার দ্রুত কাজ করার চেষ্টায় অধৈর্য হয়ে পড়ছেন। যদিও সকলকে হতাশ না করে আমাদের এই কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছি।’
নিজাম উদ্দিনের কথায়, ভোটার কার্ড নেই। জীবনে কখনও ভোটও দেননি। এমন মানুষও এনআরসির আতঙ্কে ভোটার কার্ড করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। যদিও এ প্রসঙ্গে বছর ৪৫-এর মহঃ আলী বলেন, দেশজুড়ে এনআরসি চালু হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই! তাই সময় নষ্ট না করে চলে এলাম নিজের ভোটার কার্ডটা তৈরি করতে। কিসের আতঙ্ক? তিনি বললেন, ভোটার কার্ড না থাকলে যদি আমাকে ডিটেনশান ক্যাম্পে চলে যেতে হয়।
হাতিয়াড়ায় মহঃ নিজামউদ্দিন, আখের আলী, আহম্মদ আলী মল্লিক ও মহঃ আসিফ আহমেদের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলেই।