|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতায় আন্তঃধর্মীয় সম্মেলন অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদা নাশীন কাউন্সিল এবং অল ইন্ডিয়া একতা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ৪জুন কলকাতার কর্পোরেট হোটেলে আন্তঃধর্মীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় সূফী সাজ্জাদা নাশীন কাউন্সিলের জাতীয় চেয়ারম্যান হযরত সৈয়দ নাসিরুদ্দিন চিশতী এবং দিওয়ানের উত্তরসূরি ও সাজ্জাদা নশীন দরগাহ হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ রহ. তিনি তার বক্তব্যে আমাদের যুবসমাজকে আধুনিক ও উচ্চশিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে যাতে এদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়।এদেশের ঐক্য বজায় রাখতে এবং এদেশের উন্নয়নে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, শান্তি ও ভালোবাসার বার্তা পৌঁছে দেওয়াই আজকের আন্তঃধর্মীয় সম্মেলনের উদ্দেশ্য। “আমার দৃষ্টিতে যারা বিদ্বেষের কথা বলে তাদের কোনো ধর্ম নেই কারণ ধর্ম মানুষকে ভালোবাসার বার্তা দেয়। সম্প্রীতি ও জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হলে সকল ধর্মীয় নেতাদের একসঙ্গে বসে শান্তি ও মানবতার বার্তা দিতে হবে। আজকে আমরা সবাই এই সম্মেলনে দিচ্ছি।আজ আমাদের তরুণরা চরমপন্থী হয়ে উঠছে। প্রত্যেক ধর্মেই কিছু মৌলবাদী আছে।uতারা তরুণদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। চিশতী সাহেব ছাড়াও কাউন্সিলের পশ্চিমবঙ্গের ইনচার্জ ডাঃ সৈয়দ ইকবাল শাহ আলকাদেরী সকল অতিথিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ভারতের গঙ্গা-জামনী সভ্যতার প্রসারে সুফিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সূফী পরিষদের সকল সাজ্জাদের উদ্দেশ্য তাদের বুজুর্গ দের ভালবাসার বাণী ছড়িয়ে দেওয়া।
এই সম্মেলনে অন্যান্য পীর সাহেবের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাসুবাটি মেজো হুজুর দরবার শরীফের পীর সাহেব জানাব সৈয়দ তাফহিমুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন বচন সিং সার্ল, স্বামী উওমানন্দ মহারাজ, মণি মহারাজ, বলজিৎ সিং গ্রেওয়াল, সৈয়দ শাহ আতিফ আলী আলকাদেরী, দীনেশ জৈন গ্রেওয়াল, নুর হাসান ওয়ারসি, আহমেদ হাসান ইমরান, মাওলানা সৈয়দ মেহের আব্বাস রিজভী, ভিকো মহারাজ, সৈয়দ আবদুল কাদির ওয়াহিদ পাশা, ফাদার, সাবির আলী, জাভেদ আখতার, আকিল আহমেদ আকিল, অশোক চক্রবর্তী, মুখতার আলী, বজলি রেহমান,এহতেশাম-উল-হক প্রমুখ।