স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে শামিল তিলোত্তমা তেরঙা আলোয় সেজে উঠেছে কলকাতার সর্বত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা : অপেক্ষা মাত্র একদিনের। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে শামিল তিলোত্তমা। তেরঙা আলোয় সেজে উঠেছে কলকাতা হাইকোর্ট, ভিক্টোরিয়া, মেটক্যাফে হলের মতো শহরের ঐতিহাসিক ভবন ও সৌধগুলি। প্রস্তুতি তুঙ্গে রেড রোডে। ১৫ অগস্ট নিরাপত্তায় কড়া নজর থাকবে কলকাতা পুলিসের।

     

    সোমবার ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। দেশজুড়ে চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। সঙ্গে তেরঙা যাত্রা, পোস্ট অফিস থেকে জাতীয় পতাকা বিতরণ-সহ আরও নানা কর্মসূচি। আজ, শনিবার থেকে সোমবার, ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত দেশের প্রত্য়েক বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ‘স্বাধীনতা’র ছোঁয়া লেগেছে কলকাতায়ও। এদিন সন্ধ্যা নামতেই শহরের ব্রিটিশ আমলের সৌধগুলি ঝলমল করে উঠল তেরঙা আলোয়!লালবাজার সূত্রে খবর, ১৫ অগস্ট কলকাতার রাস্তায় থাকবে অতিরিক্ত ২৫০০ পুলিস। প্রত্যেকটি জোনের দায়িত্বে থাকবেন ১ করে ডেপুটি পুলিস কমিশনার। সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার ও ৬ যুগ্ম কমিশনার। রেড তৈরি করে হয়েছে ৬ ওয়াচ টাওয়ার, ১১ বাঙ্কার।এদিকে স্বাধীনতার দিবসের আগে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টের ডিপি বদলে ফেলেছেন মু্খ্যমন্ত্রী। গান্ধীজী, নেতাজি সুভাষ, ঋষি অরবিন্দ, রামমোহন রায়, ভগৎ সি…..জাতীয় পতাকার রংয়ের সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবিকে ডিপি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। লিখেছেন, ‘ভারত, যেখানে ভিন্নতার মাঝে ঐক্য বিরাজ করে। ভারত, যেখানে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্মালম্বীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। ভারত, যেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জনগণের অধিকার রক্ষিত হয়। হ্যাঁ, এটাই আমাদের ভারত। দেশবাসীর কাছে জানতে চাইলেন, ‘এ মহান দেশ সম্পর্কে আপনাদের ধারণা কী’?এদিন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। মন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। কিন্তু সংশোধানাগারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কেন? সংশোধানাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজ্য়ের তরফে কোনও নির্দেশিকা পাঠানো হয়নি। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবি, কোন কোন জায়গায় দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা পতাকা উত্তোলন করবেন, তা জানিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে নবান্নে। সেই তালিকায় ছিল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারও। তাহলে কেন এমন ঘটনা? রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা দিবস নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।