|
---|
মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দল
অতনু ঘোষ, পূর্ব বর্ধমান : বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ও প্রকাশ শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিধানসভা ভোট কে সামনে রেখে ডান বাম সকল রাজনৈতিক দল ভোট প্রচারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। এদিকে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার বাংলায় আসছে ভোট প্রচারে। অনেকে নেতা বিধায়করা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। কিন্তু এসব কে পাত্তা দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল তা কয়েক দিন আগেই পূর্ব বর্ধমানের জনসভা থেকে বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
এবারের বিধানসভা ভোটে মতুয়া ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছে শাসক বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল। গত ১১ই ফেব্রুয়ারি রাজ্যে এসেছিলেন অমিত শাহ, মতুয়াদের মন জয় করতে তিনি ঠাকুরনগরে জনসভা করেন। ঠিক তার একদিন পরেই পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি বিধানসভার মেমারির পারিজাত নগরে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দির এর বাৎসরিক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এলেন ঠাকুরবাড়ির বড়মার প্রতিনিধি তথা বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর।
গত ১১ই জানুয়ারি অমিত শাহ ঠাকুরনগরে এসে হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে ঠাকুর দর্শন করেননি এবং মতুয়াদের মাঝে এসে একবারের জন্য হরিবোল না বলে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ায় কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না মমতা বালা ঠাকুর এবং CAA নিয়েও সুর চড়ান তিনি।
এদিন মমতা বালা ঠাকুর কে কাছে পেয়ে,পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ এখন পর্যন্ত না হওয়ায় ক্ষোভ দেখান পারিজাতনগর বাসী। মমতা বালা ঠাকুর মঞ্চে উপস্থিত স্থানীয় নেতৃত্ব এর কাছে জানতে চান কেনো কাজ হয়নি? স্থানীয় নেতৃত্ব কাজ হয়ে যায় বলে আশ্বাস দেন উপস্থিত পারিজাতনগরের বাসিন্দাদের এবং আজকের এই অরাজনৈতিক মঞ্চকে
রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এলাকাবাসীদের কাছে।
উপস্থিত ছিলেন মেমারি বিধানসভার বিধায়িকা নার্গিস বেগম, ব্লক সভাপতি মধুসূদন ভট্টাচার্য, মেমারি পৌরসভার প্রশাসক স্বপন বিষয়ী,সহ পৌর প্রশাসক সুপ্রিয় সামন্ত, সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃত্ব ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গবৃন্দ।
এদিন মমতা বালা ঠাকুর রসুলপুরে রোড শো করে মহেশ ডাঙ্গা ক্যাম্পে জনসভা করেন।