|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ এক পড়ুয়ার যাবতীয় নথি পুড়ে ছাই। কিছুদিন পরই ডাক্তারি পরীক্ষায় বসতে চলেছেন তিনি, সমস্ত নথিপত্রর পাশাপাশি মেডিক্যালের সব বইখাতা পুড়ে যাওয়ায় নিদারুণ অসহায় অবস্থা বছর ঊনিশের পড়ুয়া তুলিকা সেন-এর।
মঙ্গলবার সকালে বীরভূমের দুবরাজপুর পৌরসভার অন্তর্গত ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কুলু পাড়ায় মঞ্জুশ্রী ধর নামে এক মহিলার বাড়ির দোতলার একটি ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই সময় বাড়ির নীচের তলায় ঘুমোচ্ছিলেন বছর ঊনিশের পড়ুয়া তুলিকা সেন। তখন বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। বাকিরা নিজের নিজের কাজে এবং চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন।এমন অবস্থায় প্রতিবেশীরা ওই বাড়ির দোতলার একটি ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে, ছুটে এসে যতটা সম্ভব আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় দুবরাজপুর থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনীকে। পরে ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী আসতে আসতে ওই ঘরে যা জিনিসপত্র ছিল তার কোন কিছুই আর বেঁচে থাকে না, সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। দমকল বাহিনী আগুন লাগার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে।প্রশ্ন উঠছে, যদি দুবরাজপুর শহরে কোনও দমকল কেন্দ্র থাকতো তাহলে হয়তো এত বড় ক্ষতি থেকে অনেকটাই রক্ষা করা সম্ভব হত। কারণ দুবরাজপুরের মতো এত বড় একটি শহরে কোথাও কোনও দমকল কেন্দ্র নেই। এই এলাকায় কোনওরকম অগ্নিসংযোগের দুর্ঘটনা ঘটলে দমকল বাহিনীকে আসতে হয় সিউড়ি থেকে। সিউড়ি থেকে দুবরাজপুর শহরের রাস্তা অন্ততপক্ষে ২৫ কিলোমিটার। এরপর আবার রয়েছে যানজট। এসব পেরিয়ে ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনীর পৌঁছতে পৌঁছতে অনেক সময়ই পার হয়ে যায়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বাসিন্দারা এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্রের দাবি করে আসছেন।
যদিও সম্প্রতি রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু তারাপীঠে এসে জানিয়েছেন, দুবরাজপুরের দমকল কেন্দ্র তৈরি করা নিয়ে যে জমি জট ছিল তা মিটে গিয়েছে। সেখানে খুব তাড়াতাড়ি ফায়ার স্টেশন হবে।