|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট গরু জবাই প্রতিরোধ আইনের অপব্যবহার সম্পর্কে রাজ্য সরকারকে তিরস্কার করেছে। আদালত বলেছে, যেকোনও ধরণের গোশত উদ্ধারের পরে তাকে ফরেনসিক পরীক্ষা না করেই গরুর গোশত বলে নিরপরাধকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। আজ সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ওই মন্তব্য করেছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ কঠোর মনোভাব নিয়ে বলেন, মানুষকে এমন অপরাধের জন্য কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে, যা তারা মোটেই করেন না। গরু জবাই প্রতিরোধ আইনের আওতায় রহিম উদ্দিন নামে এক অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার সময়ে আদালত রাজ্য সরকারের এ সংক্রান্ত নীতিমালা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্যামলী জেলায় ‘গরু জবাই প্রতিরোধ আইন ১৯৫৫’- এর আওতায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। চলতি বছরের ৫ আগস্ট থেকে ওই অভিযুক্ত কারাগারে রয়েছেন। যদিও তাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়নি। তার ফৌজদারী অপরাধের ইতিহাসের মধ্যেও একটি মাত্র মামলা।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট আজ রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে জানায়, উত্তর প্রদেশে গরু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই এবং গো-শালাগুলোতে উন্নত সুযোগ-সুবিধা নেই। গো-শালাগুলো কেবল দুগ্ধবতী গাভী রাখার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। লোকেরা বৃদ্ধ এবং অসুস্থের পাশাপাশি দুধ না দেওয়া গরুকে রাস্তায় ছেড়ে দেয় এবং গো-শালায় তাদের রাখা হয় না।
আদালত বলেছে, গো-শালার বাইরে ঘুরে বেড়ানো গরুরা মানুষের ফসল নষ্ট করছে। কৃষকদের আগে কেবল নীলগাইয়ের দ্বারা ফসলের ক্ষয়ক্ষতির বিপদ ছিল। কিন্তু এখন বেওয়ারিশ গরুতেও বিপদ দেখা দিয়েছে। বাইরে সড়কে ঘোরাঘুরি করা গরু ট্র্যাফিক এবং মানুষের জীবনকেও হুমকির সম্মুখীন করছে। প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের ভয়ের কারণে অন্য লোকেরাও এদেরকে তাদের কাছে রাখে না বা তাদের রাজ্য থেকে বাইরে পাঠানোর সাহস করতে পারে না।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট আজ আরও বলেছে গরুকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। গরুদের তাদের মালিকদের সাথে থাকার বা গো-শালায় রাখার নিয়ম থাকা উচিত।