|
---|
মালদাঃ- লোন পেতে গেলে দিতে হবে কাটমানি। অভিযোগ মালদহের তুলসিহাটার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। ব্যাংক গ্রাহকদের অভিযোগ ওই ব্যাংকের পরিষেবা আগে ভালো ছিল। কিন্তু নতুন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার যোগদান করার পরই ব্যাংকের সমস্ত কাজই ঢিলেমি হচ্ছে। এমনকি গ্রাহকদের লোন পেতে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। লোন নিতে গেলে লাগবে কমিশন। ন্যূনতম ১০ শতাংশ কমিশন দিলেই তবে লোন পাস হবে। তার উপরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার কে খুশি করতে বহুমূল্য ইন্সুরেন্স কিনতে হবে তারই মাধ্যমে। এলাকার অনেক গ্রাহকদের অভিযোগ কাগজপত্র ঠিক থাকলেও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নানা অজুহাতে লোন দিচ্ছেন না। গাড়ি কেনা থেকে শুরু করে বাড়ি তৈরি সব কিছুতেই লোন নিতে গেলে তিনি চেয়েছেন কমিশন। বাধ্য হয়েই গ্রাহকেরা অভিযোগ জানিয়েছে ব্যাংকের উচ্চতম আধিকারিকদের কাছে। এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে খবর। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্যাংক ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার সিং।
অভিযোগকারী অভিজিৎ গুপ্ত জানান বাড়ি তৈরির জন্য ঋণ চেয়ে ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।১০ লক্ষ টাকা ঋণ মঞ্জুরও হয়। কিন্তু ঋণের মোট অঙ্কের ১০ শতাংশ, একলক্ষ টাকা ‘কাটমানি’ দিতে রাজি না হওয়ায় তিন বছরেও ঋণ মেলেনি বলে অভিযোগ জানালেন ওই ব্যবসায়ী।
স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন
১০ লক্ষ টাকা লোন নিলে দিতে হবে ১০ শতাংশ ঘুষ। ঘুষ চাইছেন স্বয়ং ব্যাংক ম্যানেজার।দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসছে।লোন অনুমোদন করার জন্য এরকম অনেকের কাছে টাকা চেয়েছেন ম্যানেজার। এছাড়াও ব্যাংকের পরিষেবা নিয়ে প্রত্যেক বছর কাস্টমার মিট হয়। এই ম্যানেজার আসার পর সেই মিট হচ্ছে না।
বিপ্লব গুপ্তা নামে এক গ্রাহক জানান প্রায় এক বছর আগে ১০ শতাংশ ঘুষ নিয়ে ম্যানেজার তার লোন মঞ্জুর করে।
এদিকে তুলসিহাটা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার সিং বলেন,” এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। যাদের কাগজপত্র সঠিক নেই তারা লোন পাচ্ছে না।কারোর কাছে লোনের জন্য কোন টাকা চাওয়া হয়নি বলে জানান।
বাইট:(১)মিজানুর রহমান (স্কুল শিক্ষক)
(২)অভিজিৎ গুপ্তা (ব্যবসায়ী)
(৩) শঙ্কর সাহা(স্কুল ক্লার্ক)
(৪) বিপ্লব গুপ্তা (ব্যবসায়ী)
(৫) সঞ্জয় কুমার সিং(ব্যাংক ম্যানেজার)