তালডাংরায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:- বাঁকুড়ার (Bankura) তালডাংরায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগ কম্পিউটার ক্লাস থেকে ফেরার সময় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার সময় ৪ জন হামলা চালায়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। ঘটনায় ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। সূত্রের খবর, মাথায় ও পায়ে গুরুতর চোট নিয়ে ওই স্কুল-ছাত্রী বিষ্ণুপুরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, রবিবার সকালে, কম্পিউটার ক্লাসে যাওয়ার সময় আমডাংরা জঙ্গলের কাছে ৩-৪ জন অপরিচিত যুবক পথ আটকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় মারধর করা হয় ওই ছাত্রীকে। নির্যাতিতার দাদা জানিয়েছেন, “হাত-পা বাঁধে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। কোনও রকমে এদের ছাড়িয়ে চলে আসে। দু’জন রাস্তা দিয়ে আসছিল, তারা বাড়িতে জানায়।’’ প্রথমে ছাত্রীকে আমডাংরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে, বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৪ যুবকের বিরুদ্ধে থানায় FIR করেছে ছাত্রীর পরিবার।  অভিযুক্তদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বাঁকুড়া আদালত।এবিষয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নেই। আমরা চাইব যথোপযুক্ত তদন্ত হোক ও অভিযুক্তদের শাস্তি হোক।’’ পাল্টা বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা বলেন, “পুলিশ প্রশাসন যথার্ত অ্যাকশন নিয়েছে, বিজেপি রাজনীতি করছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।‘’পুলিশ সূত্রে দাবি, ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ করা হচ্ছে।এদিকে টানা ১১ দিন লড়াইয়ের পর আজ ভোর ৫টা নাগাদ ময়নাগুড়ির অগ্নিদগ্ধ নাবালিকার মৃত্যু হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে বাড়িতে একা পেয়ে স্থানীয় এক যুবক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কোনওক্রমে রক্ষা পায় নাবালিকা। এরপর অভিযুক্ত যুবক আগাম জামিন নিয়ে নেয়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গত ১৩ এপ্রিল অভিযুক্তর সঙ্গীরা কেস তুলে নিতে বলে নাবালিকার বাড়ি এসে খুনের হুমকি দিয়ে যায়। আতঙ্কে পরের দিন গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নাবালিকা। তাকে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।