পথশিশুদের নিয়ে অভিনব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আলোর দিশারী

নিজস্ব সংবাদদাতা:ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবর্ষ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতার মল্লিকবাজারে আলোর দিশারী পরিবারের শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন রকমের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।সাথে সাথেই বর্তমান ভারত তথা গোটা বিশ্বের মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়ার যে আশংকা সৃষ্টি হয়েছে করোনা ভাইরাসের মতো মারণ রোগ।সেই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে ওই ফুলের মতো শিশুদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হ্যান্ড ওয়াশ ও স্যানিটেশন দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে বলা হয়।

    কমবেশি ১০০ থেকে ১২০ জন ছাত্র ছাত্রীকে নিয়ে বসে আঁকা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।ছোট ও বড় দুটো গ্রুপকে আলাদা আলাদা ভাবে বেছে নেওয়া হয়।
    তিন জন করে মোট ছয় জন কে উৎসাহ প্রদান করা হয়।
    এভাবেই প্রতিযোগিতা , কবিতা, আবৃত্তি বিনোদন ও খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমেও ওদের মধ্যে থেকে মেধাবী খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

    অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজনরা।
    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী ডাঃ তরুণ মন্ডল।
    তিনি বলেন, উন্নত দেশের মধ্যে ভারতবর্ষ অন্যতম এটা আমরা গর্ব করে বলি ঠিকই কিন্তু দূর্ভাগ্য এখনও পর্যন্ত লক্ষ্য মানুষ ফুটপাতে জীবন যাপন করে বেঁচে আছেন।
    কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মোফাক্কেরুল ইসলাম তিনি বলেন, আমরা যখন নিজেদের ফ্যামিলি নিয়ে আনন্দের সঙ্গে জীবন যাপন করি ঠিক সেই সময়ে এখন ও বেশ কিছু মানুষ আছেন ,যারা কিনা কোনো করুনা,দয়া করে নয় সম্পূর্ণ ভালোবাসার টানে রাস্তার ধারে, ফুটপাতে জীবন যাপন করা শিশুদের শিক্ষার আঙিনায় ফেরানোর চেষ্টায় অঙ্গীকারবদ্ধ।
    ফুরফুরা ইউনিক ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের কর্নধার মুফতি গোলাম হাবিব তিনি বলেন, সমাজ নিয়ে ভাবনাটা ছোট বেলা থেকেই ছিল, পরবর্তীতে বিভিন্ন সমাজ সচেতন মানুষগুলোর সংস্পর্শে থেকে মানুষের জন্য কিছু করতে সাহস পেয়েছি। অসহায় মানুষগুলোর জন্য কিছু করার মানসিকতা জন্মেছে।ফলে ভালোবাসার টানে কলকাতায় অবস্থিত ফুটপাথে জীবন যাপন করা ওই ফুলের মতো শিশুদের মুখের হাসির ভাগিদার হতে ছুটে এসেছি। আলোর দিশারী পরিবারের কর্নধার ও ওদের হাতে কিছু শিক্ষা সামগ্রী তুলে দিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী নেতা বীরেন মাহাতো। আব্দার রহমান শেবাশ্রম অনাথ আশ্রম,সামিম এখলাক,মামনি বিশ্বাস স্থানীয় অঙ্গওয়ানী কেন্দ্রের কর্মী ,সমাজসেবী চিনু মন্ডল সহ বিভিন্ন প্রান্তে থেকে আসা আলোর দিশারী পরিবারের নতুন ও নিয়মিত ফেসবুক ফলোয়াররা, বিশেষ করে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়া বন্ধুরা এসেছিলেন।
    আলোর দিশারী পরিবারের অভিভাবক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী আনিসুল করিম স্যারের মূল্যবান কথা ও উপদেশ আমাদেরকে এগিয়ে যাওয়ার রসদ জোগায়। ওনার মতো একজন অভিভাবক পেয়ে আমরা গর্বিত বোধ করছি।
    আলোর দিশারী পরিবারের পক্ষ সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।