এ. এম. ইসলামিক মডেল স্কুলে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। ।

নিজস্ব সংবাদদাতা : পূর্ব বর্ধমান জেলার বলগোনা তাজ এডুকেশ এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি – পরিচালিত এ. এম. ইসলামিক মডেল স্কুলে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস পালিত হলো। এক বিশাল ও জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ভরে ওঠে উচ্ছ্বসিত ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং অতিথিদের উপস্থিতিতে। সবাই মিলেই এই দিনটিকে স্মরণীয় করে তোলেন। উদযাপনের সূচনা হয় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে, যা করেন বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল কাজি এনামুল হক। পতাকা উত্তোলনের পর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়, যা সবার মনে দেশপ্রেমের এক নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি করে। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় নানা রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা। ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয় বর্ণাঢ্য র‍্যালিতে, যেখানে তারা স্বাধীনতা ও জাতীয়তাবোধের নানা বার্তা তুলে ধরে বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে। এছাড়া, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশাত্মবোধক কবিতা, ইসলামিক গজল ও বিশেষ বক্তৃতা পরিবেশন করে, যা দর্শকদের মনকে আবেগে আপ্লুত করে এবং তাদের মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনাকে আরও দৃঢ় করে তোলে। বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল গনি, প্রেসিডেন্ট, বলগোনা তাজ এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এবং পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকফ বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বিদ্যালয়ের সম্মানিত ডিরেক্টর তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটি তে কর্মরত আবুল হোসেন মণ্ডল, টিআইসি সেখ আরজুল, স্কুলের সম্পাদক আবুল হাসান মণ্ডল, ম্যানেজার মওলানা নাসিরউদ্দিন মন্ডল, সহ-সম্পাদক আজহার মণ্ডল, ইউসুফ মন্ডল, এবং প্রাক্তন একাডেমিক হেড জয়নাব খাতুন ও স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মচারীবৃন্দ। তাদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানের মহিমা আরও বাড়িয়ে তোলে।এ ধরনের উদযাপন শুধু আনন্দের উপলক্ষই নয়, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেমের বীজ বপন করে, যা তাদের ভবিষ্যতে দেশের সেবায় অনুপ্রাণিত করবে। স্বাধীনতা দিবসের এই বিশেষ আয়োজন তাদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    অনুষ্ঠানটি দক্ষভাবে সঞ্চালনা করেন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী আফরিন নাজ এবং স্কুলের বাংলা শিক্ষক বিজয় হাজরা। তাদের সমন্বিত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং সকলের মনে এক চিরস্থায়ী স্মৃতি রূপে থেকে যায়।