দোস্তজী’ খ্যাত আশিক, আরিফ, হাসনুহেনাদের শিক্ষার দায়িত্ব নিতে চায় আমতলা মডেল স্কুল

‘হামিম হোসেন মণ্ডল, ন‌ওদা : ১১ নভেম্বর গোটা দেশে মুক্তি পেয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র ‘দোস্তজী’। এদেশে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগেই বিশ্বের ২৬ দেশ ঘুরে এপর্যন্ত ৮ টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার এনেছে। পরিচালক প্রসূন চট্টপাধ্যায়ের প্রথম ছবি এটি। তিনি ‘দোস্তজী’র সূচনা করে ছিলেন ২০১৪ সালে। আর বাস্তবায়িত হলে ২০২২ সালে এসে। প্রসূন বাবুর লেখা ও নির্দেশিত এই ছবিটি টলিউড অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিবেদন করেন। পুরো ছবিটি মুর্শিদাবাদের ডোমকল এলাকায় শ্যুটিং হয়েছে, যার মূল চরিত্রে যে শিশুরা অভিনয় করেছে তারা এই এলাকারই ছেলে-মেয়ে। এর আগে তারা কোনা দিন অভিনয় তো দূরের কথা ক্যামেরার সামনে আসেনি। তারাই আজ প্রসূন বাবুর চিন্তাশীল নির্দেশনায় পলাশ চরিত্রে অভিনয় করেছে আশিক শেখ এবং সফিকুলের ভূমিকায় অভিনয় করেছে আরিফ শেখ এছাড়াও আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য চরিত্র জয়ার ভূমিকায় দেখাগেছে হাসনুহেনাকে। আশিক স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তারা সকলেই শান্ত স্বভাবের, কিন্ত তাদের ভেতরে অভিনয় নিয়ে ধনাত্মক প্রতিক্রিয়া ছিল বলে তারাই জানিয়েছে ‘নতুন গতি’কে। তাদের নিয়ে স্থানীয় থেকে গোটা জেলা তথা রাজ্য আজ গর্বিত। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এক নতুন দিশা দেখালো ‘দোস্তজী’ বলে বিদ্বজনরা মনে করছেন।

    ইতোমধ্যে একটি বেসরকারি সংস্থা তাদের পড়াশোনার ভার নিতে চেয়েছে। শনিবার ন‌ওদার আমতলা এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওই তিন শিশু শিল্পীদের সমস্ত স্তরে পড়াশোনার দায়িত্ব চেয়ে তাদের পরিবারের কাছে এক মুক্ত প্রস্তাব রাখলো। এদিন আমতলায় ভয়েস পাবলিক স্কুল (বালক)-এর পরিচালনায় আশিক, আরিফ, হাসনুহেনাদের সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। এই মঞ্চেই সভার সভাপতি তথা ভয়েস পাবলিক স্কুল অর্থাৎ আমতলা মডেল স্কুলের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান এই তিনজনকে তাঁর স্কুলে ভর্তি হ‌ওয়ার আহ্বান জানিয়ে ঘোষণা দেন, যতদূর পড়তে চায় তাদের ফ্রিতে পড়াবে আমতলা মডেল স্কুল। মূলত তাদের যাবতীয় শিক্ষার দায়িত্ব নিতে উদ্‌গ্রীব এই স্কুলটি এমনটাই জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

    উপস্থিত ছিলেন ন‌ওদা ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সফিকুল হাসান, আমতলা কলেজের অধ্যাপক আব্দুল হালিম সেখ, মডেল স্কুলের আমতলা শাখার ডাইরেক্টর সুজয় মণ্ডল ছাড়াও সমাজসেবী মোশারফ হোসেন, আবতাবুদ্দিন সেখ, নৃত্যশিল্পী মিলন মিঞাঁ সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।