বাঁশের ফালি দিয়ে পায়ের শিরা কেটে এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল তারই মদ্যপ্রেমী সঙ্গীদের বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা : মদের আসরে বচসা তার জেরে প্রাণ গেল এক তরতাজা যুবকের। বাঁশের ফালি দিয়ে পায়ের শিরা কেটে এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল তারই মদ্যপ্রেমী সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। জানা যায় মৃত ওই যুবকের নাম সঞ্জয় দাস (২৫)। পেশায় ভ্যান চালক। বাড়ি কানকাটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া পৌরসভা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কানকাটার শ্মশান সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রতিদিনের মতো বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ পেশায় ভ্যান চালক সঞ্জয় দাস সহ তার অন্যান্য সঙ্গীরা কানকাটা শ্মশান সংলগ্ন এলাকায় মদের আসর বসায়। সেখানেই নিজেদের মধ্যে বচসা হয়। সেই বচসার প্রতিশোধ নিতেই ঘটনাস্থলে সঞ্জয় দাস নামে ওই ভ্যানচালককে বাঁশের ফালি দিয়ে পায়ের শিরা কেটে দেয় সঙ্গীরা।দীর্ঘক্ষণ রক্তক্ষরণ হতে থাকে সঞ্জয়ের ততক্ষণে সঙ্গীরা চম্পট দিয়েছে এলাকা ছেড়ে। ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সঞ্জয়। দীর্ঘ ক্ষণ ছটফট করে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় সঞ্জয়। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই খবর দেওয়া হয় বাঁকুড়া সদর থানায়। বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। বচসার জেরেই খুন হতে হয়েছে যুবককে এমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসী। এভাবে এক তরজা যুবকের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।বৃহস্পতিবার সকালে মৃতের মা, স্ত্রী সহ এলাকার মানুষজন গতকাল সন্ধ্যের সময় ওই মদের আসরে থাকা এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়া সদর থানায় আসেন। এই খুনের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে গতকাল সন্ধ্যে নাগাদ মদের আসরে থাকা বাবলু ওরফে বুড়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, ঝামেলা হয়েছিল। তবে ঐ ঘটনার আগেই তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। খুনের বিষয়টি তিনি সকালে জানতে পারেন বলে দাবি করেন।মৃত যুবকের মা এবং স্ত্রী বলেন গতকাল বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ নদী যাবার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয় সঞ্জয়। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। তারপর রাত্রি নাগাদ খবর পান সঞ্জয়কে কে বা কারা মেরে ফেলেছে । দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর সোনায় ঘোষাল বলেন মদের আসরে বচসার জেরেই হয়তো খুন হতে হল ওই যুবককে।তবে দীর্ঘদিন ধরে কানকাটা, মিনাপুর শ্মশান সংলগ্ন এলাকায় এবং নদীর চরে রাত্রি হলেই শুরু হয় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। চলে মদ এবং জুয়ার আসর। বিষয়টি প্রশাসনকে বারংবার জানানো হয়েছে । তিনি প্রশাসনকে এই ব্যাপারে কড়া হস্তক্ষেপের দাবি জানান। সাথে তিনি আরও বলেন আগামী দিনে প্রমিলা মহিলা বাহিনী তৈরি করে নজরদারি চালানো হবে।