|
---|
উজির আলী, নতুন গতি:অবশেষে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে খোলা হচ্ছে আইসোলেশন সেন্টার। গতকাল সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত ওই আই টি আই কলেজে আইসোলেশন সেন্টার খুলতে না দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ করে আসছিল। আইটিআই কলেজের গেট বন্ধ করে টায়ার জ্বালিয়ে কয়েক হাজার বাসিন্দা। এই আইটিআই কলেজ আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলতে থাকে । এলাকার স্বাস্থ্য কর্তা থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনিক কর্তারা এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ শান্ত করতে পারেননি। সোমবার রাতে স্থানীয় প্রশাসনিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ হলে এলাকার মানুষদের কোন ক্ষতি হবে না এবং কোনো সংক্রমণের আশঙ্কা থাকবে না এই বক্তব্য আশ্বস্ত হওয়ার পরই সকাল থেকেই কাজ শুরু হয়ে যায়।
মঙ্গলবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় শ্রমিকরা কলেজটিতে আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ হওয়ার জন্য কাজ করছেন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, সরকার নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে আইসোলেশন সেন্টারটি নির্মিত হচ্ছে। আপাতত দশটি শয্যা বিশিষ্ট সেন্টারটি নির্মিত হবে বলে খবর।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, এই আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কলেজটির একটি ভবনে টিন্ বাসের ব্যারিকেড দিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা করে এই আইসোলেশন সেন্টারটি নির্মিত হচ্ছে। কলেজের দিকটাই জনবসতি আছে সেদিকে সেন্টারটি হচ্ছে না। তাছাড়া স্থানীয় প্রশাসন থেকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে সেন্টারে।
প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা চন্দ্র নাথ রায় জানান হরিশ্চন্দ্রপুরের মতো চিকিৎসা ব্যবস্থায় পিছিয়ে থাকা এলাকায় এই সেন্টারটি নির্মাণ না হয়ে চাঁচলে হলেই ভালো হতো। একান্তই যদি হরিশ্চন্দ্রপুরে করতে হয় তাহলে ফাঁকা কোন নির্জন জায়গাতে সেন্টার নির্মাণ করা উচিত ছিল। আইটিআই কলেজ টি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। এর পরিবর্তে হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজে সেন্টারটি হলে ভালো হতো।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা অঞ্জলি জনবহুল এলাকায় আইসোলেশন সেন্টার খোলা নিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করলেন। জানালেন হরিশ্চন্দ্রপুর ঢাকা কোন জায়গায় আইসোলেশন সেন্টার খোলা হলে ভালো হতো।এখানে আইসোলেশন সেন্টার খুললে এলাকাবাসীর সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গভীর রাত পর্যন্ত ওই কলেজে আইসোলেশন সেন্টার করতে না দেওয়ার দাবিতে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চালায় বাসিন্দারা।
তবে বাসিন্দাদের অভিযোগের উত্তরে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর মুখ খুলতে নারাজ।