|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা:অনলাইনে লেনদেন যত বাড়ছে ততই বাড়ছে সাইবার প্রতারণা। এ নিয়ে পুলিশ সাধারণ মানুষকে সতর্ক করলেও নিত্য নতুন কায়দায় মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সাইবার প্রতারকরা। যার মধ্যে মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। সেরকমই মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে গত জুলাইয়ে বাঁকুড়ায় এক ব্যক্তির কাছ ১৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠছিল। সেই ঘটনায় আগেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার সেই ঘটনার তদন্তে আরও চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কুরিয়ার বয় সেজে একেবারে ফিল্মি কায়দায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুলাই মাসে বাঁকুড়ার জয়পুর থানায় রাহুল বটব্যাল নামে জনৈক এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন। এয়ারটেল এবং জিও টাওয়ার বসানোর নাম করে তার কাছ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার পুলিশ গত জুলাই মাসে সাতজনকে গ্রেফতার করে। ধৃত সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে হাওড়ার শ্যামপুর থানার অন্তর্গত দেবাশিস পাল নামে এক ব্যক্তি জয়পুরের অভিযোগকারীর কাছ চার লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছিল। পুলিশ জানতে পারে, দেবাশিস প্রত্যেক মাসে দুটো তিনটে করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন সিম কার্ড নিজের নামে ইস্যু করে কল সেন্টারে কুরিয়ারের মাধ্যমে দমদমে পাঠিয়ে দিত। সেখান থেকে তিন হাজার বা চার হাজার টাকা পেত।
এই ঘটনার কথা জানতে পেরে জয়পুর থানার এক এসআই কুরিয়ার বয় সেজে প্রতারককে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এছাড়া দমদমের টাকি রোডে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের খোঁজ পায়। সেখান থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি মোবাইল ফোন, ল্যান্ডফোন-সহ প্রচুর পরিমাণে নথি উদ্ধার হয়েছে।