৪০০ প্যাকেট দেশলাইকাঠি দিয়ে কালীমাতার মূর্তি তৈরি করে ফেললেন নদিয়ার বাসিন্দা অঙ্কু বিশ্বাস

নিজস্ব সংবাদদাতা : গত দুবছর লকডাউনে বাড়িতে বসে থেকে একাধিক সৃজনশীল কাজকর্মে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন বহু মানুষ । অনলাইনে বাড়িতে বসেই বিভিন্ন রকম কাজকর্মের প্রশিক্ষণ নিয়েছে অসংখ্য মানুষ । ঠিক তেমনই লকডাউনের দু’বছর লম্বা সময়টা সঠিকভাবে সদ্ব্যবহার করেছেন নদিয়ার অঙ্কু বিশ্বাস ।

    স্মার্ট ফোন ও অনলাইন গেমের প্রতি আসক্তি না বাড়িয়ে লকডাউনের সময়ে একাধিক সৃজনশীল কাজ শিখে ফেলেছেন তিনি ইতিমধ্যেই । সেই দক্ষতাতেই ৪০০ প্যাকেট দেশলাইকাঠি দিয়ে কালীমাতার মূর্তি তৈরি করে ফেললেন তিনি । নদিয়ার বহিরগাছি প্রতাপগড়ের বাসিন্দা অঙ্কু বিশ্বাস এই মূর্তি তৈরি করেছেন ।মূর্তিটি তৈরি করতে তার সময় লেগেছে ছয় মাস । পড়াশোনার পাশাপাশি শখের বশেই এই কাজ করেছেন বলে জানান তিনি । এছাড়াও তিনি জানান শিল্পকলাকেই ধীরে ধীরে পেশা বানাতে চাইছেন । এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন অঙ্কু। পড়াশোনার পাশাপাশি তার শিল্পকলার দিকেই ঝোঁক রয়েছে বেশি।মাজদিয়া সুধীররঞ্জন লাহিড়ী কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন । মাটির কাজ শিখেছে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে । একাধিক কারুকার্যের মাটির মূর্তি তৈরি করতে পারেন অঙ্কু বিশ্বাস । অংকুর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা সচ্ছল নয়। তার বাবা পেশায় একজন কৃষক । তবে ছেলের কাজকর্মে কখনও কোনওদিন বাধা দেননি বরং উৎসাহ দিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি । তিনি চান তার ছেলে ভবিষ্যতে শিল্পকলায় অনেক সাফল্য লাভ করুক ।চাষি পরিবারের ছেলে অঙ্কু বিশ্বাস দেশলাইকাঠি, আঠা, কাগজের বোর্ড দিয়ে এই প্রতিমা বানিয়েছেন । সোশ্যাল মিডিয়া মারফত এখন এই কালী ঠাকুরের মূর্তিটি ভাইরাল! মূর্তিটি দেখে বেশ কয়েকজনের খুবই পছন্দ হয়েছে এবং এই মূর্তিটি একজন কিনেও নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। ভবিষ্যতে অর্ডার পেলে আরও এরকম কাজ করবে বলে জানিয়েছেন অঙ্কু। মূলত লকডাউনের সময় বাড়িতে বসে থেকেই শিল্প কারুকার্যের প্রতি ঝোঁক তার বাড়ে। এবং তারপর থেকেই এইরকম সূক্ষ্ম কারুকার্যে মনোনিবেশ করেন বলে জানান।