অঙ্কুর পাঠশালা’ চালু করলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক:- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গুড়গুড়িপাল থানার অন্তর্গত শাল জঙ্গলে ঘেরা পিছিয়ে পড়া লোধা ও আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম ভাদুলিয়া। এই গ্রামে বসবাস পিছিয়ে পড়া জনজাতি আদিবাসী লোধা শবর পারিবারের। গ্রামে শিক্ষার আলো প্রায় পৌঁছায়নি বললেই চলে। গ্রামের শিশুরা একটা সময় স্কুল গেলেও করোনা পরিস্থিতির জেরে স্কুল বন্ধ হওয়ায় স্কুল ছুট হয়ে গেছে বর্তমানে। সেই গ্রামের ৪০ জন শিশুকে নিয়ে ‘অঙ্কুর পাঠশালা’ চালু করলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আম্মা জনসেবা সোসাইটি। সোসাইটির উদ্যোক্তাদের কর্মসূচিতে আপ্লুত হয়ে ঝাড়গ্রাম ননীবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সমাজকর্মী প্রবীর মাইতি এই গ্রামের শিশু শিক্ষার নিয়মিত পঠন-পাঠন ও সুস্বাস্থ্য গঠন ও খেলাধুলার দায়িত্ব নিলেন।এবং তিনি বার্তা দেন, করোনা ও লকডাউনে ডিজিটালাইজড অনলাইনের মাধ্যমে যেভাবে সুপরিকল্পিত ভাবে ব্যবসায়ীরা মার্কেট করে চলেছে, সেক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় আরও অনেক পিছিয়ে পড়ছে। স্কুলছুট বাচ্চারা স্কুলে আসছে না।সেজন্যই সহৃদয় ব্যক্তি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের প্রচেষ্টায় পিছিয়ে পড়া শ্রেণী তথা লোধা ও আদিবাসী শিশুদের সচেতনতা ও পঠন পাঠনের মধ্য দিয়ে সুন্দর সমাজ গড়ে তুলুক এই আশা প্রকাশ করেন তিনি।জানা গেছে সপ্তাহে ৫ দিন এই নিত্য পাঠশালায় পঠনপাঠন চলবে। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলা, মানসিক বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহন করা হবে বলেও জানা গেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে। ভবিষ্যতে এ ধরনের পাঠশালা জেলার অন্যান্য পিছিয়ে পড়া এলাকা গুলোতেও চালু করা হবে বলে জানা গেছে।