দিল্লি বর্ডারে কৃষক আন্দোলনের অন্য রূপ দেখা গেলো গোটা দেশজুড়ে সম্প্রীতি সৌহার্দের বার্তা আন্দোলনকারীদের

নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক: পারস্পরিক সহযোগিতাময় ভারতবর্ষের চিরন্তন ও বাস্তব চিত্র -যে চিত্র সহাবস্থান মূলক আদর্শের বার্তা দিয়ে দেশ ও জাতিকে উজ্জিবিত করে, যে ছবি উদার বৈচিত্র্যময়তা ও পার্থক্যের মধ্যেও ঐক্যবদ্ধ ভারতীয় জাতীয়তাকে পুষ্ট করে –সে ছবি স্বাশ্বত ভারতের ছবি, ঐক্যবদ্ধ ভারতের শত্রুরা বরদাস্ত করবে কেন ? সে ছবি দালাল গোদি মিডিয়া দেখাবে না এটাই তো শয়তানি রীতি! দেখায়নি আর দেখাবে তা আশাও করি না! স্যোসাল মিডিয়া না থাকলে বোধহয় এমন চিত্র ও খবর পেতাম-ই না।

    দিল্লির শাহিনবাগ। দেশ, সংবিধান, নাগরিক অধিকার হরণকারী NPR NRC CAA আইন বিরোধী আন্দোলনের ধর্নামঞ্চ। মাসের পর মাস হাজার হাজার আন্দোলনকারী অবস্থানে কাটাচ্ছেন। ধর্নায় প্রধানত মুসলিমরাই ছিলো সিংহভাগে। বাকি অংশে ছিলেন , নীচুজাত কথিত হিন্দু , দলিত ও আদিবাসী প্রতিনিধিত্বকারীরা। ‘স্বার্থ যখন অভিন্ন’ বিবেচনায় ট্রাকের পর ট্রাক খাদ্য সামগ্রী জুগিয়েছে পাঞ্জাব-হরিয়ানার মানুষ। মাসের পর মাস শিখ-নঙ্গরখানা খুলে খাদ্য-পানীয় জুগিয়ে সংহতি জানিয়েছেন তাঁরা-স্যোসাল মিডিয়া-ই জানিয়েছে।
    এখন সেই দিল্লীজুড়েই চলছে কৃষক আন্দোলন –বলা অত্যুক্তি হবেনা #কৃষক_বিদ্রোহ ! কৃষকের স্বার্থ সমগ্ৰ দেশবাসীর স্বার্থ। তিন তিনটি আইন পাশ করেছে সরকার। যা কৃষক স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেয়। দেশের প্রায় সবকটি কৃষক সংগঠন রয়েছে বিদ্রোহে সামিল। ধনিক, বহুজাতিক স্বার্থবাহী শাসকের রক্তচক্ষু তাদের উপর । দমন-ক্রিয়ার প্রায় সব প্রক্রিয়াই চালানো হচ্ছে আন্দোলনকারীদের উপর। অনঢ় কৃষকরা। আইন প্রত্যাহার করিয়েই ক্ষান্ত হতে চায়।
    অবস্থানরত কৃষকরা প্রধানত পাঞ্জাব হরিয়ানার মানুষ। দিল্লির শীতে দুর্ভিসহ অবস্থা এখন তাঁদের। এগিয়ে এসেছে দিল্লির মসজিদ কমিটিগুলো ! খাদ্য-পানীয়, প্রয়োজনীয় বস্ত্রের পৌঁছে দিচ্ছে আন্দোলনী কৃষক-বন্ধুদের কাছে। এখবর প্রথমসারী কথিত বড় মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া জানাচ্ছে না –জানান দিচ্ছে ছোট মাধ্যম ও স্যোসাল মিডিয়া।
    বর্তমানে যে খবরের ছবি, ভিডিও অনেক বেশী
    করে আমাদের আপ্লুত করছে, জাতীয় আশা জাগাচ্ছে , অনুপ্রাণিত করে, সে ছবি হলো -আন্দোলনে সামিল, খাদ্য প্রস্তুত ও সরবরাহে যুক্ত মুসলিমরা যখন নামাজ পড়ছে -সেই ছবি ও ভিডিও ! দিল্লী-হারিয়ানা-সিন্ধু সীমান্তে কৃষকদের জন্য নির্মিত কমিউনিটি ফুড স্টলের সামনে মুসলিমরা নামাজ আদায় করছে আর শিখ কৃষক বন্ধু ভাইয়েরা পাহারা দিচ্ছে নামাজরত মুসলিমদের –সেই দৃশ্য! যে দৃশ্য সাধারণ হয়েও অসাধারণ বার্তাবাহী সে দৃশ্য।