বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানান দলে চাণক্য একজনই আর তিনি মমতা ব্যানার্জি

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বঙ্গ রাজনীতির সবথেকে বড় ‘ঘর ওয়াপসি’। তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায়। আর মুকুলের এই প্রত্যাবর্তন নিয়ে বিস্ফোরক বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘দলে চাণক্য একজনই, মমতা ব্যানার্জি। আর কেউ নয়।’

    মুকুল রায়ের যোগদানকে গুরুত্ব না দিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘‌টিভিতে মুকুল রায় তৃণমূল ভবনে গেল দেখলাম। নেত্রী মমতা ব্যানার্জি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা দলের সিদ্ধান্ত। যদি মনে করে মুকুল রায়কে দরকার আছে, নেবে। কারণ মমতা ব্যানার্জি দলের সুপ্রিমো। তিনি যা বলবেন, তাই হবে।’‌ তারপরই তাঁর সংযোজন, ‘‌আমি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী।

    আগে সাংবাদিকরা বলত মুকুল রায় নাকি চাণক্য। কিন্তু একুশের নির্বাচনে মুকুল রায় ছিল না। তারপরেও এই অভূতপূর্ব জয়। তাহলে মমতা ব্যানার্জির থেকে বড় চাণক্য আর কেউ নেই। তিনি উন্নয়নের কান্ডারি। আর আমি যেটা বলেছিলাম ২২০ থেকে থেকে ২৩০ আসন, এখনো ৬টা আসনে ভোট বাকি। ওই ৬ আসনেও জয়লাভ করব।’‌ বেশ কিছু আসনে অল্প ভোটে না হারলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ২৫০ হত বলে দাবি অনুব্রতর। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা কর্মীদের ফের তৃণমূলে ফেরার প্রবণতাকে কটাক্ষ করে অনুব্রত বলেন, ‘‌গোয়ালে অনেক গরু থাকে। রাত্রিবেলা দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে যায়। আবার সকাল বেলা তাদের এনে গোঁজে বেঁধে দেওয়া হয়। ওরা দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। আবার গোয়ালে বাঁধা হচ্ছে।’‌