প্রতিমা গড়ার পাশাপাশি পুজোর ঘট, সরা, ধুনুচি, ঝাজরি, প্রদীপ ইত্যাদি বানাতে ব্যস্ত জেলার মৃৎশিল্পীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা : দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজো। মাঠে নদীর পারে কাশফুল ও শিউলি গাছের তলায় শিউলি ফুল পড়ে জানান দিচ্ছে আগমনীর বার্তার। ইতিমধ্যে পুজোর তোড়জাড় করতে ব্যস্ত পুজো কমিটি থেকে শুরু করে জেলার সমস্ত মৃৎশিল্পীরাও। প্রতিমা গড়ার কাজ প্রায় শেষের মুখে। তবে জেলার মৃৎশিল্পীরা শুধুমাত্র প্রতিমা গড়াতেই পারদর্শী নন। প্রতিমা গড়ার পাশাপাশি তারা বানান মাটি দিয়ে বানানো পুজোর একাধিক সামগ্রী। তার মধ্যে রয়েছে পুজোর ঘট, সরা, ধুনুচি, ঝাজরি, প্রদীপ ইত্যাদি নানান সামগ্রী।ঠাকুর বড়ার পাশাপাশি আপাতত সেই সব সামগ্রী বানাতে ব্যস্ত জেলার একাধিক মৃৎশিল্পীরা।এই সমস্ত সামগ্রী বানাতে এগিয়ে এসেছেন পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও। টানা ১২ ঘন্টা এই কাজে নিযুক্ত থাকেন বেশ কিছু মহিলা মৃৎশিল্পীরাও। মাটি ছেনে সেই মাটি দিয়েই সুন্দরভাবে কারুকার্য করে বানানো হয় পূজোর একাধিক নিত্য সামগ্রী। এরপর সেগুলিকে শুকানো হয় রোদে। তারপরে সেগুলিকে পোড়ানো হয় আগুনের তাপে। এখানেই শেষ হয়ে যায় না তাদের কাজ। এরপরেই শুরু হয় তাদের প্রতিভার মূল নিদর্শন। বিভিন্ন রঙে আঁকা হয় বিভিন্ন চিত্র। আর সেই চিত্রতেই ফুটে ওঠে সেই সমস্ত পুজোর সামগ্রীর বস্তুগুলি। সংসার চালানোর পাশাপাশি দিনরাত এক করে তারা বানিয়ে চলেছেন আসন্ন দুর্গাপুজোর বিভিন্ন সামগ্রী।জেলা থেকে এই সমস্ত পুজোর সামগ্রী চলে যাবে শহরতলি এবং কলকাতাতেও। এইসব জিনিসগুলি দাম কিছুটা বাড়লেও চাহিদা কিন্তু একেবারেই কমেনি বলে জানালেন তারা। সামনেই বিশ্বকর্মা পুজো এবং তারপরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। করোনা আবহে দীর্ঘ দু বছর জাঁকজমক হবে পালন করা হয়নি একাধিক পুজো ও অনুষ্ঠান। মহামারি প্রকোপ কিছুটা কমতেই আবারও পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণ। সেই কারণেই পুজো কমিটিগুলির পাশাপাশি চরম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেল জেলার মৃৎশিল্পীদেরও।