|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রী, বিজেপি-র তাবড় নেতাদের নাম জড়িয়ে মামলা । বিরোধী নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধির নতুন মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন । মামলাকারীর প্রশ্ন, কীভাবে রাজনাথ সিংহ, স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, জেপি নাড্ডার সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে? কীভাবে সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং সৌমিত্র খাঁ-র? রাজ্যের বিরোধী নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি কীভাবে ঘটেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মামলাকারীর প্রশ্ন, কীভাবে সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে মহম্মদ সেলিম, আব্দুল মান্নান, তন্ময় ভট্টাচার্যের?বৃহস্পতিবার যে ২৪ জনের নামে সম্পত্তি মামলা রুজু হয়েছে, তাতে বাংলার নেতানেত্রীদের মধ্যে নতুন নাম হল সুজন চক্রবর্তী ও রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে নতুন জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের কাছে তাঁর আর্জি, নেতামন্ত্রীদের আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখুক আদালত। হিসেব না মিললে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হোক। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মিললে ED এবং CBI যাতে ওই সব নেতামন্ত্রীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে, সেই আর্জিও জানিয়েছেন মামলাকারী। সবমিলিয়ে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্ব, বিরোধী শিবিরের ২৪ জনের সম্পত্তি নিয়ে এই মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁদের সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখতে আবেদন জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তাতে কোথাও কোনও বিচ্যুতি চোখে পড়লে, সকলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন মামলাকারী। কলকাতা হাইকোর্টে সম্পূর্ণ নতুন করে এই মামলা দায়ের হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ED) দিয়ে ওই ২৪ জনের সম্পত্তি খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে আদালতের কাছে। আবেদনকারী জানিয়েছেন, সিবিআই-ইডিকে দিয়ে নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখা হোক। যদি দেখা যায়, ন্যায়সঙ্গত ভাবে ওই সম্পত্তি কুক্ষিগত না করে থাকেন তাঁরা, সে ক্ষেত্রে বাজেয়াপ্ত করা হোক সমস্ত সম্পত্তি। কড়া পদক্ষেপ করা হোক সকলের বিরুদ্ধে।এ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “কাচের ঘরে থেকে যখন ঢিল ছুড়ছিল, খুব ভাল লাগছিল। এখন প্রমাণ দিন। এটাও তো তাঁদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।” যদিও রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইন্টারপোল দিয়ে তদন্ত হোক। এই মাত্র আমার সব প্রপার্টি নিয়ে নিক। আমাকে একটা ওয়ান বিএইচকে ফ্ল্যাচ দিয়ে দিক। কোনও অসুবিধা নেই।” সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি আবার বলেন, “আমরা তো বলছি সিপিএম থেকে সব জনপ্রতিনিধিদের আয় ও সম্পত্তির খতিয়ান নেওয়া হোক। সেটা নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীরও নেওয়া হোক। তৃণমূল-বিজেপি কী বলছে?”এর আগে, ২০১৭ সালে তৃণমূলের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পত্তির হিসেব নিয়ে মামলা দায়ের হয়। তার পাল্টা সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী শিবিরের ১৭ জনের বিরুদ্ধে একই রকম মামলা দায়ের হয় একটি। তাতেি নয়া সংযোজন, স্মৃতি ,নাড্ডাদের বিরুদ্ধে এই মামলা। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে।