|
---|
মালদা, ১১ জানুয়ারি: মালদার বামনগোলা থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৫৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার পর কফিনবন্দি দেহ পাঞ্জাবের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলো। মৃত বিএসএফ জওয়ানের নাম বিবেক তেওয়ারি (৩৬)। সোমবারের এই ঘটনার পর মঙ্গলবার থেকে বামনগোলা থানা এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। যদিও ওই জাওয়ানের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু পরিষ্কার করে জানাতে পারেনি বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ১৫৯ ব্যাটালিয়ানের বামনগোলা ব্লকের খুটাদহ ক্যাম্পের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায়। হাড়িয়া নদীতে ওই বিএসএফ জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বামনগোলা থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় ।
পুলিশ ও বিএসএফ সুত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন কাঁটাতারের ওপারে হবিবপুর , বামনগোলা জুড়ে গরু পাচার চেষ্টা চালায় জোরকদমে বাংলাদেশের পাচারকারীরা। গত শুক্রবার ওই এলাকার হবিবপুরের ১৫৯ ব্যাটালিয়নের জাওয়ানদের গুলিতে এক বাংলাদেশী পাচারকারী মৃত্যু হয়। ঠিক তারপরের দিন সোমবার বামনগোলা ব্লকের খুটাদহ ক্যাম্পের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নদীতে এক বিএসএফের জাওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে গোটা এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ এবং বিএসএফের প্রাথমিক অনুমান , কিছুদিন আগে বাংলাদেশের পাচারকারীরা চোরাপথে গরু পাচারের সময় বিএসএফ কে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পাল্টা বিএসএফ গুলি চালালে এক বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়।
বিএস এফের অনুমান , সীমান্তবর্তী এলাকায় ওই বিএসএফ জওয়ান গরু পাচারের বাধা দেওয়ায় পাচারকারীরাই ওই জাওয়ানকে মেরে নদীর জলে ভাসিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ১৫৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ানে।ওই জাওয়ানের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের ক্যাম্পে নিয়ে আসে সেখানে তার কফিন বন্দিদেহকে সন্মান জানানোর পরে ওই জওয়ানের দেহ তার বাড়ি পাঞ্জাবের উদ্দেশ্য পাঠানো হয়।