দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের মূল অভিযুক্ত আর .এস. এস কর্মী পল্লব কয়াল গ্রেপ্তার

 

    জাকির হোসেন সেখ, উত্তর-২৪-পরগনা:

    শান্তির বাংলায় দাঙ্গা করে বাংলাকে কেউ যে স্তব্ধ করতে পারবে না, প্রশাসনের তৎপরতায় তা আবার প্রমান হলো। সূত্রের খবর, উপর মহলের নির্দেশে বিজেপি কর্মী পল্লব কয়াল বেশ কিছুদিন ধরেই ফলতা থানার মানুষের মনে “ছেলেধরা” “চোর চোর” “ধর্ষণ করছে” ইত্যাদির মতো মারাত্মক গুজবের মাধ্যমে ভীতির সঞ্চার করে কোনো নিরিহ মানুষকে গনধোলাইয়ে হত্যা করিয়ে দাঙ্গা বাধানোর তালে ছিলেন।

    ১৯শে জানুয়ারির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফল ব্রিগেড এবং রাজীব কুমার সংক্রান্ত সিবিআইকে দিয়ে বিজেপির মিশন ব্যর্থ হবার পর পল্লব কয়ালের তৎপরতা আরো তুঙ্গে ওঠে। ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে ফলতা থানা ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী উস্থি, ডায়মন্ড হারবার, মগরাহাট এবং রামনগর থানার এলাকাতেও দাবানলের মতো পড়ে সেই গুজব। উস্থি থানার তপনা থেকেও কিছু বিজেপি কর্মী গুজব ছড়ানো শুরু করে।

    কখনো ছেলেধরা, কখনো চোর এসেছে বলে ফোনের পর ফোনে পুলিশ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। পাড়ায় পাড়ায় লাঠি হাতে পাহারা। বহু জায়গা থেকে অচেনা ব্যক্তিকে আটকে মারধর করে জিজ্ঞাসাবাদ করার খবর আসে।
    মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে ময়দানে নামেন। থানায় মিটিং করেন। এলাকার মানুষকে সচেতন করতে মাইক প্রচার চলে।
    তারপর‌ই আজ ফলতা থানার পুলিশ পল্লব কয়ালকে গ্রেফতার করে।
    জিঞ্জাসাবাদ করে আরও অনেক তথ্যের হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।

    বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে “পল্লব কয়াল” বিজেপির এমন‌ই একজন সক্রিয় কর্মী যে কিনা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফলতার তৃনমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মাননীয় জাহাঙ্গীর খাঁন তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করার জন্য‌ই উপর মহলের নির্দেশে নাকি এই অপকর্ম ঘটাতে থাকেন।
    পল্লব কয়াল গ্রেফতার হ‌ওয়ার খবর শুনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ফলতা থানা সহ উস্থি, ডায়মন্ড হারবার, মগরাহাট এবং রামনগর থানার মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।