পাট শিল্পের মাধ্যমে দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল নাট্য সংসদ ক্লাবের

দক্ষিণ দিনাজপুর: বাংলার কৃষ্টি সংষ্কৃতি থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসা পট শিল্পের মধ্যমে দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল মায় প্রতিমা গড়ে এবছর দর্শনার্থীদের চমক দিতে চলেছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গংগারামপুর শহরের বিগ বাজেটের নাট্য সংসদ ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তারা।

    গঙ্গারামপুর শহরের ব্লক পাড়া এলাকায় অবস্থিত নাট্য সংসদ ক্লাবের পূজো এবার ৩১ তম বর্ষে পদার্পণ করল। যদিও এবারের তাদের পুজোর থিম ” সবটাই কাল্পনিক “.।

    উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন যাবতীয় কোভীড বিধি মেনে সিংগিল ডোজ ভ্যাক্সিন গ্রহিতা থেকে ডাবল ডোজের গ্রহিতাদের জন্য দু ভাবে প্যান্ডেলে ঢুকে ঠাকুর দর্শনের পাশাপাশি অঞ্জলির ফুল বেলপাতা সবটাই তাদের তরফ থেকে স্যানিটাইজেশনের পর অঞ্জলি দেওয়ার জন্য আসা ভক্তগনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এমনকি মা দুর্গাকে ভোগ হিসেবে কাটা ফল না দিয়ে গোটা ফল ভোগ দেওয়া হবে।

    পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি গতবার এই করোনা অতিমারির জন্য দর্শনার্থীরা সে ভাবে মন্ডপ গুলিতে প্রতিমা দর্শন করতে ভীড় না জমাতে পারলেও এবার ভ্যাক্সিন দেওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা পালটে যাওয়ায় দর্শনার্থীরা তাদের মন্ডপে ভীড় জমাবে তাদের এই সবটাই কাল্পনিক থিমের চাক্ষুষ মজা নিতে। যদিও উদ্যোক্তাদের দাবি সবটাই কাল্পনিক থিম হলেও মুলত পট চিত্রের মধ্যমে গড়ে তোলা হচ্ছে তাদের মন্ডপ। এমনকি মা দুর্গা ও তার পুত্র কন্যাদের ও পটুয়া কে হাতিয়ার করে গড়ে তোলা হবে।কি থাকবে না তাতে, খড়, চালন, কুলো, রুদ্রাক্ষ থেকে মায় গাজার কলকি মহাদেবের সেই কাল চিত্রকে পট শিল্পের রুপ দিয়ে তাদের সবটাই কাল্পনিক থিমকে বাস্তব রুপ দেওয়া হচ্ছে।
    যদিও এই পট শিল্পকে হাতিয়ার করার পেছনেও একটা পৌরানীক গল্প রয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা,তারা জানান পট শিল্পিরা একবার মহাদেবকে না জানিয়ে তার ছবি আকতে যায়। মহাদেব তা দেখতে পেয়ে ওই পট শিল্পিরা তাদের হাতের তুলি মুখের মধ্যে পুড়ে ফেলে। আর তা দেখেই মহাদেব তখন নাকি তাদের জাত নিয়ে অভিশাপ দেয়। তাই এই পৌরানিক কাহিনী ও পট শিল্পকে হাতিয়ার করেই এবার তারা তাদের মন্ডপে দর্শনার্থীদের অভিনব পুজো উপহার দিতে চলেছেন। যা দেখতে দর্শনার্থীদের ভীড় উপচে পড়বে বলেই তাদের আশা।