সেতু দাবি অবশেষে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর তত্ত্বাবধানে ঘোষিত হওয়ায়, ধন্যবাদ জানিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠল গোটা গ্রাম, উৎসবের পরিবেশ গোটা এলাকায়

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: স্বাধীনতার পর থেকে দাবি উঠেছিল একটি সেতুর। সেতুটি সংযোগ স্থাপন করবে আসাম ভুটান এবং বাংলাদেশের মধ্যে। কুচবিহার তুফানগঞ্জ মহকুমার ২ নম্বর ব্লকের মহিষ কুচি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রায়ডাক নদীর ওপর জাল ধোয়া ঘাট সেতু দাবি অবশেষে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর তত্ত্বাবধানে ঘোষিত হয়েছে। আর তাতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে গোটা গ্রামের।

    স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা ঘোষ ও শ্যামল সরকারের কথায়, সেতু হলে সাধারণ মানুষের যথেষ্ট উন্নতি হবে। বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটে যাবে এই এলাকায়। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উপকার হবে। বিশেষ করে বর্ষার দিনে রোগগ্রস্ত মানুষেরা অতি সহজে চিকিৎসার জন্য বড় হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যেতে পারবে। শুধু তাই নয় বন্যার সময় যথেষ্ট উপকার হবে সাধারণ মানুষের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে সমগ্র গ্রাম আজ উৎসবের আমেজে সবুজ আবির খেলে মিষ্টিমুখ করিয়ে নিজেদের আনন্দ জাহির করল।

    মহিষ কুচি ১ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি একরামুল হক বলেন, অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বাম আমলে নেতারা এসে শুধু ঘুরে দেখে গেছেন, লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে বিজেপি সাংসদ জণ বাড়লাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেতুর কিন্তু সবটা লোক দেখানো।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন তা করে দেখান, শেষ তার কাছে এই দাবি রাখা হয়েছিল সেতুটির। শেষমেষ তিনি সেতু তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাই তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কোনও ভাওতাবাজি নয় অবশেষে সে তো হবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে। তাই তাকে অজস্র ধন্যবাদ। বলা বাহুল্য, আলিপুরের সংসদ তথা বিজেপির জন্ বারলা নিজে এলাকায় উপস্থিত হয়ে শুধু তৈরীর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সব এখন অতীত। রাজ্যের ক্ষেত্রে কল্পতরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা আরো একবার প্রমান পেলো কোচবিহার জেলা।