দিন গড়াতেই শিক্ষা জগতের আরও একটা অনশন এসে হাজির

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক। আজ নিয়ে ৮ দিন হয়ে গেল পিআরটি স্কেলের দাবিতে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে আমরণ অনশনে প্রাথমিক শিক্ষকরা। অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে মাস কয়েক আগেই কলকাতার মেয়ো রোডে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সেই অনশনের কথা। ‘রেকর্ড’ ভাঙা সেই অনশন উঠেছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে। দিন গড়াতেই শিক্ষা জগতের আরও একটা অনশন এসে হাজির। এবার পালটে গেল স্থান ও অনশনকারীদের পরিচয়।

    অনশনকারী শিক্ষকদের দাবি, স্বচ্ছ এবং সঠিক বেতন কাঠামো। তাঁরা বলছেন, গোটা দেশের অন্য অনেক রাজ্যের তুলনায় বাংলায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন প্রায় অর্ধেকেরও কম। সরকার এ বিষয়ে আশ্বাস দিলেও তাঁদের কোনও দাবিই আর মানা হয়ে উঠছে না। তাই এই পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, ২০ জন অনশনকারী শিক্ষকদের মধ্যে ৩ জন ইতোমধ্যেই হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন।

    একটু খতিয়ে দেখলে জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষকদের মাধ্যমিক শিক্ষাগত যোগ্যতায় বেতন দেওয়া হয়। যার পে-ব্যান্ড-২। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে ও কেন্দ্রে দেওয়া হয় পে-ব্যান্ড-৪ হিসেবে। বর্তমানে প্রাথমিকে বেতন কাঠামো ৫,৪০০-২৫,২০০। গ্রেড পে-২,৩০০/২,৬০০। বাস্তবিকই অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় যা অনেকটাই কম। অর্থাৎ একটা বিষয় স্পষ্ট, যাঁরা অনশনে বসেছেন তাঁরা ‘ভুল’ কোনও দাবি নিয়ে ভুখা পেটে আজ রাস্তায় বসেননি। এরই মধ্যে অনশনকারীদের প্রতি সমর্থনের বার্তা পাঠিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষও।