|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : ২৭শে জুন, সন্ধে সাড়ে সাতটা তখন। সিঁথির রামলীলা বাগান এলাকায় একজন যুবককে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন সার্জেন্ট চিন্ময় মোহান্ত। পোশাক অবিন্যস্ত ও ময়লা, বোঝাই যাচ্ছিল অনেকদিন ধরেই ঘরছাড়া। তাঁর পরিচয় জানতে গিয়েই সার্জেন্ট চিন্ময় মোহান্ত বুঝতে পারেন, মানুষটি মূক ও বধির।
তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় সিঁথি থানায়। মূক ও বধিরদের ভাষা বুঝতে সক্ষম, এমন একজন প্রশিক্ষিতকে খবর দেন সিঁথি থানার অফিসার-ইন-চার্জ সৈকত নিয়োগী। জানা যায়, যুবকটির নাম রেবোকান্ত নায়ক। বাড়ি খুব সম্ভবত অসমের হেমলাই বলে কোনও এক অঞ্চলে। কিন্তু নিজের বিস্তারিত ঠিকানা বা কোনও আত্মীয়-পরিজনের ফোন নম্বর আকারে-ইঙ্গিতেও দিতে পারেননি তিনি।
এরপর রেবোকান্তর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন সিঁথি থানার সাব ইনস্পেকটর সুব্রত মল্লিক। অসম পুলিশের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তাদেরকেও গোটা ঘটনাটা জানানো হয়। রেবোকান্তর শারীরিক অবস্থা বিশেষ ভালো ছিল না। চিকিৎসার প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘হাইভ ইন্ডিয়া’-র সাহায্যে তাঁকে দ্রুত হোপ কলকাতা ফাউন্ডেশনে ভর্তির ব্যবস্থা করেন সিঁথি থানার সাব ইনস্পেকটর দেবাশিস চক্রবর্তী।
ইতিমধ্যে ফেসবুকের পোস্ট দেখে সাব ইনস্পেকটর সুব্রত মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রেবোকান্তর এক বন্ধু। তাঁর কাছ থেকেই জানা যায়, রেবোকান্তর প্রকৃত ঠিকানা অসমের জোড়হাট জেলার অন্তর্গত হেমলাই টি এস্টেট নামের গ্রাম। সেই বন্ধুটি জানান, রেবোকান্ত ১৯ জুন থেকে নিখোঁজ। এরপর ৩০ জুন কলকাতায় আসেন রেবোকান্তর বাবা মংলু নায়ক। বাবাকে দেখে খুশিতে উচ্ছ্বল রেবোকান্ত, ছেলেকে ফিরে পেয়ে মংলু নায়কের চোখেও তখন আনন্দাশ্রু।