|
---|
লুতুব আলি, নতুন গতি : আসানসোলের রূপনারায়ণপুরে দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশনের বর্ণাঢ্য নজরুল বার্ষিকী । কবিতীর্থ চুরুলিয়ার দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন মর্যাদা সঙ্গে অনুষ্ঠিত করল কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী। সাম্যের কবি, বিদ্রোহী কবি, ভালোবাসার চিরন্তন কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী বিশেষভাবে স্মরণ করল, দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানের নান্দনিক সূচনা লগ্নে স্বাগত ভাষণ দেন দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন এর কর্ণধার তথা নজরুল ইসলামের নাতনি বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সোনালী কাজী। এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ ঘোষ সকলকে স্বাগত জানান। এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানটি হয় রূপনারায়ণপুরের হিন্দুস্থান কেবলস শ্রমিক মঞ্চে। অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০০ জন প্রতিযোগী নিয়ে সারাদিন ধরে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, নৃত্য ও গানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।সফল প্রতিযোগীদের হাতে মানপত্র মেমেন্টো, পদক ও উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। দুদিনের এই অনুষ্ঠানে মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত দর্শক শ্রোতারা অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে এই লাইভ অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষনে ছিলেন কাজী নজরুল ইসলামের ভ্রাতুষ্পুত্র কবি কাজী রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে দুই বিশিষ্ট সংস্কৃতিপ্রেমী রত্না সোম ও প্রশান্ত কুমার দত্তকে অগ্নিবীণা সম্মানে ভূষিত করা হয়। আরও সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয় কল্যাণ ভট্টাচার্য, সুজিত কর্মকার, প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানিক চন্দ্র দাস প্রমুখদের। কাজী রেজাউল করিম কাজী নজরুল ইসলামের অনেক অজানা ও অপ্রকাশিত তাঁর বর্ণময় দিকগুলি নিয়ে অনুষ্ঠানে আলোকপাত করেন। এই আলোকপাত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন চুরুলিয়ার নজরুল বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ দীপঙ্কর মজুমদার। দুদিনের এই অনুষ্ঠানে কবি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কবি সম্মেলনের সঞ্চালনায় ছিলেন শুক্লা হালদার ও অমল গড়াই। তৃতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে আসানসোল বিবেকানন্দ মঠের সভাপতি পৌরহিত্য করেন। এই পর্বের অনুষ্ঠানে মঙ্গল ধ্বনি সুললিতভাবে উচ্চারিত করেন শুভ্রা চ্যাটার্জি। সোনালী কাজীর পরিচালনায় সমবেত কন্ঠে দোলনচাঁপার সদস্যরা কারার ঐ লৌহ কপাট গানটির মধ্য দিয়ে পর্ব শুরু করেন। কাজী নজরুল ইসলামের উত্তরসূরী বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী কল্লোল কাজী, শুভ্রা চ্যাটার্জি, শাশ্বতী নন্দী ঘোষ ও টিএস জয়শ্রী একক নজরুল গীতি পরিবেশন করেন। এই পর্বের ২৭ টি সংগঠন তাদের সদস্যদের নিয়ে নজরুল নৃত্য, নজরুল গীতি ও আবৃত্তি পরিবেশন করে। সোনালী কাজী ও প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান, কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত হবে। এই জন্মবার্ষিকী শেষ হবে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মভূমি চুরুলিয়ার মাটিতে। দুদিনের এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সঞ্চিতা ব্যানার্জি, পাপিয়া দেব, রত্না সোম, অমল গড়াই, শুক্লা হালদার, রঞ্জনা নাগ প্রমুখ।