|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : নিজের সাত বছরের শিশুকন্যাকে মেরে আত্মঘাতী এএসআই বাবা। পরে বন্ধ ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার বাবা-মেয়ের নিথর দেহ। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ একই সঙ্গে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নদীয়ার চাকদহ থানার বিষ্ণুপুর এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম জয়ন্ত সর্দার (৩৭)৷ পেশায় বেলঘড়িয়া জিআরপিতে এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জয়ন্তবাবুর একটি সাত বছরের শিশুকন্যা রয়েছে৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ, জয়ন্ত সর্দারের সঙ্গে তার স্ত্রী মৌসুমী সর্দারের পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। কারণ, শুরু থেকেই মৌসুমীদেবী জয়ন্তকে পরকীয়ার সন্দেহ করতো। যদিও বাসিন্দাদের দাবি, জয়ন্তবাবু ওই রকম মানুষ ছিলেন না৷এদিকে এই পরকীয়াকে ঘিরে তাঁদের দাম্পত্য জীবনে মাঝেমধ্যেই বিবাদ চরমে উঠত। বাসিন্দাদের দাবি, সেই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন জয়ন্তবাবু৷ আজ দুপুর দুটো নাগাদ তার ঘরের ভেতরেই ঝুলন্ত অবস্থায় দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অনুমান প্রথমে মেয়ে জিয়া সর্দারকে ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলে বাবা। এরপরে নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চাকদাহ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়৷