এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ নদিয়ার মাঝদিয়ার শিবনিবাসে ভক্তদের ভিড় ভোর রাত থেকেই লেগে রয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা : আজ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ নদিয়ার মাঝদিয়ার শিবনিবাসে ভক্তদের ভিড় ভোর রাত থেকেই লেগে রয়েছে। জেলা তথা জেলার বাইরে বহু দূর দুরন্ত থেকে ভক্তরা এসেছে শিবের মাথায় জল ঢালতে। কেউবা এসেছে পায়ে হেঁটে কাঁধে বাঁক নিয়ে, কেউ এসেছে মোটর বাইকে কেউবা এসেছে গাড়িতে। তবে ছোট বড় বৃদ্ধ সব ভক্তদের মধ্যেই জল ঢালার উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মত। ভোর রাত থেকেই একে একে ভক্তদের আগমন শুরু হয়ে গিয়েছে শিবনিবাস মন্দিরে। আজ স্বাধীনতা দিবস ছুটির দিন সেই কারণে শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারে শিবনিবাস মন্দিরে জল ঢালতে ভক্তদের রয়েছে তুলনামূলকভাবে বেশি। প্রশাসনের ভূমিকা ছিল তৎপর।শিবনিবাস মন্দির ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কৃষ্ণগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গোটা শ্রাবণ মাস জুড়েই প্রশাসনের ভূমিকা ছিল তৎপর। সমস্ত রকম দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করার জন্য এবং ভক্তরা যাতে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে পুজো দিতে পারেন সেই দিকে প্রশাসনের সবসময় ছিল লক্ষ্য। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে এই শিব নিবাস মন্দিরের রয়েছে এক কাহিনী।জানা যায় শত্রুদের আক্রমণের থেকে রক্ষা পেতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র একবার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়াতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখনই তিনি এই শিব নিবাস মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন বলে জানা যায়। এবং সেই থেকে এখনও পর্যন্ত ভক্তিসহকারে প্রতিবছর পূজো হয়ে আসছে এই মন্দিরে।বিশেষত শ্রাবণ মাসের প্রতিটা সোমবার ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সমাজের একাধিক বিশিষ্ট মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাও এই শিব নিবাস মন্দিরে এসে পুজো দিয়ে গেছেন। এশিয়ার দ্বিতীয় শিবলিঙ্গ শিবনিবাস মন্দিরের জন্যে গর্বিত গোটা নদিয়াবাসী।