অসহায় ছাত্র ছাত্রীদের পাশে মানবতা দাঁড়াতে আগ্রহী।

উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট ব্লকের চাঁদপুর কন্টলঘর গ্রামের রংমিস্ত্রি তারিকুল ইসলাম ৩ রছর আগে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইহলোক ত্যাগ করে। ছোট্ট দুই কন্যা সন্তান তানিয়া খাতুন ও সানিয়া খাতুন, স্ত্রী ও বৃদ্ধা মা’কে রেখে। ঠিক তার তিন মাসের মধ্যে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় ফুলের মত নিষ্পাপ শিশুদুটির মা। আজও তাদের মা ফিরে আসেনি। ঠাঁই হয় তাদের বৃদ্ধ দিদার কাছে। বর্তমানে বড়টার বয়স আট বছর ছোটটার ৪ বছরের মতো। বাবা মা হীন এতিম বাচ্চারা ভীষন খাদ্য সংকটে আছে, এই আবেদন আসে মানবতা’র কাছে, ওই এলাকার সমাজকর্মী জুলফিকার আলী মোল্লার মাধ্যমে।তৎক্ষণাৎ এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এগিয়ে আসে মইদুল ইসলাম নামে এক মানবদরদী ভাই। আরো কিছু সহৃদয় মানুষ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। শিশুদুটি ও তাদের বৃদ্ধা দিদার জন্য মানবতার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয় জুলফিকার আলী মোল্লার মাধ্যমে।এবং আগামীতে প্রতিমাসে খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়া ও শিশু দুটির পড়াশোনার পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মানবতার সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী পিয়াদা জানান, “মানবতা ইতিপূর্বে এতিম এবং অসহায় পরিবারের ২১ জনের পড়াশোনার পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে তবে এই প্রথম কোন এতিম পরিবারের সার্বিক দায়িত্ব গ্রহন করা হলো। এবং মানবতা আগামীতে তানিয়া-সানিয়ার মতো আরো বেশি এতিম ও অসহায় ছাত্র ছাত্রীদের পাশে মানবতা দাঁড়াতে আগ্রহী।” সে বিষয়ে সমাজ সচেতন মানুষের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মানবতা’র সম্পাদক।