নেতার এক ডাকে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:- রাজ্যের দাপুটে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে যার নাম প্রথম সারিতে আসে তিনি হলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এই নেতার এক ডাকে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। এবার এই তৃণমূল নেতার নির্দেশের পরই একটি কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। বুধবার বোলপুরের তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিভিন্ন এলাকার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠক করার পর তিনি কর্মী সমর্থকদের নির্দেশ দেন জেলার বিভিন্ন জায়গায় যে সকল পার্থেনিয়াম গাছ রয়েছে সেগুলিকে তুলে নষ্ট করে দেওয়ার। এই সকল গাছ তুলে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘এগুলি বাচ্চা বৃদ্ধ সবার খুব ক্ষতি করে। শ্বাসকষ্ট হয়।’ অনুব্রত মণ্ডলের এই নির্দেশের পরেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতা কর্মীদের এই সকল পার্থেনিয়াম গাছ তুলে ফেলতে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায়।এদিন সকাল থেকেই দেখা যায় বোলপুর পৌরসভার অন্তর্গত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় বোলপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর শেখকে এই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তিনি এলাকার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এই কাজ শুরু করেন। এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের তত্ত্বাবধানে যে সকল ব্যক্তিরা এই কাজ করছেন তাদের ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে মজুরি দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।এইভাবে পার্থেনিয়াম গাছ তুলে ফেলার কাজ শুরু করার পরিপ্রেক্ষিতে ওমর শেখ জানিয়েছেন, \”গতকাল দাদা (অনুব্রত মণ্ডল) নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলার যে সকল জায়গায় এই ধরনের গাছ রয়েছে সব তুলে ফেলতে হবে। গাছগুলি তুলে ফেলার পাশাপাশি আমরা তা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছি। এই সকল গাছের ফলে শিশু এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের শ্বাসকষ্ট হয়।সম্প্রতি বর্ষার মরশুম আসার পর থেকেই এই পার্থেনিয়াম গাছের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন জায়গায়। একের পর এক জায়গায় গজিয়ে উঠেছে এই পার্থেনিয়াম গাছ। এখন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশের পর এই গাছ জেলা থেকে নির্মূল হয় কিনা তাই এখন দেখার।