বছর শেষে মালদায় এক হল ২৮ জোড়া হাত

উজির আলি,চাঁচল:২৭ ডিসেম্বর

    নতুন জীবনে পা দিলেন মুসলিম বাঙালী-অবাঙালী ২৮ দম্পতি।বিয়ে নিয়ে অনেকেই অনেক স্বপ্ন দেখেন।অনেকেই আর্থিক কারণে আড়ম্বরের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করতে পারেন না!দুস্থ ও পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারনে অনেকেই বিবাহ জীবনে দ্রুত পা রাখতে পারেন না।এই কথা মাথায় রেখে অভিনব এক সামাজিক উদ‍্যোগ নিল আন্তর্জাতিক সংস্থা।পাত্র-পাত্রীদের মনের মতো করে এই বিয়ের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল আনুষ্ঠানিক ভাবেই।করোনা আবহের মাঝেই এক হল ২৮ জোড়া হাত।

    রবিবার বিবাহ বন্ধনে বাধা পড়লো ২৮ জোড়া যুবক-যুবতী।এই বিশাল গণবিবাহ অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকলেন ইংলিশ বাজারের হাজারো বাসিন্দা।রবিবার মালদহের ইংলিশ বাজার থানার বুধিয়া হাইমাদ্রাসা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় এই গণবিবাহ।গণ বিবাহ উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকেই সাজো সাজো রব পড়ে গিয়েছিল বুধিয়া গ্রামে।

    ‘ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি অর্গানিজেশন’ অর্থানুকুল্যে ও বাইথুস শারেকা আল খাইরি ট্রাষ্টের ব্যবস্থাপনায় এবং জামাআতে ইসলামী হিন্দ্ এর সহযোগিতায় আয়োজিত হয় গণবিবাহ।পশ্চিমবঙ্গের দুই দিনাজপুর,মালদা সহ প্রতিবেশী রাজ‍্য বিহারের মোট ২৮ জোড়া যুবক-যুবতীর বিয়ে সম্পন্ন হয়।
    শুধু রীতি মেনে বিয়ের অনুষ্ঠান নয়,ছিল বরযাত্রী কনেযাত্রীদের আপ্যায়ন, প্রায় দুই হাজার লোকের খাওয়া-দাওয়ার বিপুল আয়োজনও।বাঙালি ও অবাঙালি মুসলিমদের বিয়ে হয় ওই অনুষ্ঠানে।


    উপস্থিত ছিলেন,মালদা জেলা জামাআতে ইসলামি হিন্দের নাজিম সিরাজুল ইসলাম,জেলার সহকারি নাজিম আবু বাক্কার সিদ্দিক, রাজ্যশুরা সদস্য জিল্লুর রহমান, প্রধান শিক্ষক মহঃ আজিজুর রহমান,আহ্বায়ক আজমাল হক,ডাঃ রিজুয়ানুল হক, মাষ্টার শফিকুল আলম প্রমুখরা।বিয়ের পর নবদম্পতিকে উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে উপহারে ভরিয়ে দেওয়া হয়।স্বর্ণ অলংকার থেকে শুরু করে,নগদ অর্থ সহ সংসারের প্রয়োজনের যাবতীয় সামগ্রী দেওয়া হয়।