“একুশে জুলাই-এর পথসভায় দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে বক্তব্যের জেরে শাসক দলের অন্তদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে শান্তিপুরে l”

শরিফুল ইসলাম, নতুন গতি। সরকারী আবাস যোজনায় শান্তিপুর পৌরসভা অধীন ষোলো নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং তাঁর স্বামী শান্তিপুরের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বলে পরিচিত বৃন্দাবন প্রামানিকের নামে কাটমানি সংক্রান্ত পোস্টার পড়ায় বৃন্দাবন বাবু এক অগ্রনী দৈনিকে বিবৃতি দিয়ে বলেন, “তৃণমূল কে কালিমালিপ্ত করতে এসব বিরোধীদের চক্রান্ত l” রাজনীতিতে বৃন্দাবন বাবুর গুরুদেব বলে খ্যাত শান্তিপুর পৌরসভার বর্তমান তৃণমূলের চেয়ারম্যান, কংগ্রেসের প্রাক্তন এমএলএ অজয় দে এদিন, একুশে জুলাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় -এর আহ্বানে ‘ধর্মতলা চলুন’ প্রচার কর্মসূচি পালন করতে এসে তাঁর বক্তব্যে কাট মানি কাণ্ডে বৃন্দাবন প্রামানিকের বিবৃতির পুরোপুরি উলোটপুরান শোনালেন l

    বুধবার শান্তিপুর শহর যুব তৃণমূলের ডাকা ডাকঘর বাসস্ট্যান্ডের পথ সভায় তৃণমূলের নেতা, পৌরসভার চেয়ারম্যান অজয় দে মুখে নাম না করলেও কাটমানির পোস্টার সাঁটার পিছনে শান্তিপুরে তাঁর দলেরই বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের দিকেই অভিযোগের তীর ছোড়েন l রাজ রাস্তার পাশেই মরাপ বেঁধে ‘একুশে জুলাই ধর্মতলা চলুন’ তৃণমূলের দলীয় প্রচার-কর্মসূচী, অজয় বাবুর একের পর এক দলীয় বিধায়ক বিরোধী বক্তব্য একুশের ডাক ছেড়ে কার্যত তৃণমূলেরই বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বিরোধী স্ট্যান্ড নিয়ে নেয় l
    এর পর শান্তিপুর পৌরসভার তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সাহেব তাঁর বক্তব্যে বিধায়ক কে ‘বাইরের মাল’ আর মাত্র দুবছর আছো, ইত্যাদি বলেন l

    আপনি তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা দলীয় বিধায়ক অথচ আপনার সংগঠনের শান্তিপুর শাখার উদ্যোগে একুশে জুলাই উপলক্ষ্যে ধর্মতলা চলুন এই প্রচার মঞ্চে আপনাকে ডাকা তো হয়নি, উল্টে আপনার বিরুদ্ধে দলেরই নেতার বিষদগার – এটা তৃণমূল বিরোধী প্রায় কোমায় যাওয়া দল গুলোকে বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে কি না — এমন কতক প্রশ্ন নিয়ে প্রতিবেদক শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের বাসায় গেলে ওখান থেকে তৃণমূলের এক কর্মী জানান, বিধায়ক দিনভোর দলীয় কর্মসূচী পালন করে বাগআচড়া বাগদেবী মন্দিরে পুজোয় আছেন l
    ফোনে যোগাযোগ করা হলে অরিন্দম বাবু এই প্রতিবেদক কে জানান, “সাময়িক বিপর্যয় কাটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য নেতৃত্বে তৃণমূল মানুষের মনে নতুন করে বিশেষ জায়গা করে নিচ্ছে l সব টা নিজের কানে না শুনে মন্তব্য করবো না l ”
    পথ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল যতন সরকার, প্রসেনজিৎ সাহা l সভাপতিত্ব করেন জয়ন্ত যুব’র সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ l সদ্য কাটমানি কাণ্ডে জড়িয়ে গিয়ে সভার বেঁধে দেওয়া সুরের বাইরে বিবৃতি দেওয়া বৃন্দাবন প্রামানিক কে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নিl

    বুধবার, এদিনের পথসভা প্রকৃত তৃণমূল কর্মীদের খুশি করতে না পারলেও তৃণমূল বিরোধী শিবির, শাসক দলের এই এক তরফা কাদা ছোড়ার ঘটনায় দৃশ্যত যার পর নাই আহাল্লাদিত l