ডায়মণ্ড হারবার মহকুমা শাসকের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট করে টাকা হাতানোর চেষ্টা

বাইজিদ মন্ডল,ডায়মন্ড হারবার:- দিনে দিনে সাইবার ক্রাইম বেড়েই চলেছে। তা বলে খোদ এইডিওর নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বানিয়ে লোকের থেকে টাকা চাওয়া? এবার সেটা হল ডায়মন্ড হারবারে। মহকুমার শাসক সুকান্ত সাহার নামে ফেসবুক একাউন্ট খুলে টাকা চাওয়া হয়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। রবিবার দুপুর থেকে লোকে মহকুমা শাসকের কাছে ফোনে জানতে চান তিনি আরো কি একটি নতুন ফেসবুক একাউন্ট খুলেছেন? এখনই আসল ঘটনার কথা জানা যায়। বিষয়টি জানার পর সাইবারক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানান মহকুমা শাসক। পরে সুকান্ত সাহা নিজের ফেসবুকে ঘটনার উল্লেখ করে সকলকে সাবধান করেন। এখন পর্যন্ত এসডি ওর নাম করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে ছয় জনের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে। সকলের কাছেই ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা মধ্যে চাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সুন্দরবনের অক্সিজেন ম্যান হিসেবে পরিচিত গোসাবার বাসিন্দা সৌমিত্র মন্ডল বলেন আজ সন্ধে সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো হয়। তখন এই অ্যাকাউন্ট ফেক তা বুঝে উঠতে পারিনি। আমি একসেপ্ট করেছিলাম। কাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে সুকান্ত সাহার ছবি ছিল। পরেই একাউন্টের মেসেঞ্জার থেকে আমার মেসেঞ্জারে এসএমএস আসে। আমি কেমন আছি তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর লেখালেখিতে কথোপকথন চলতে চলতেই আচমকা সমস্যায় পড়েছেন বলে জানানো হয়। তারপর ইউপিআই লিমিট সমস্যার কথা জানিয়ে আমাকে সাড়ে আট হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়। আমি প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর আমি মহকুমাশাসক সুকান্ত সাহার মোবাইল নম্বর জোগাড় করে ফোন করে কথা বলি। আর তখন ওই জানতে পারি কেউ বা কারা এসডিওর ছবি ব্যবহার করে ফেক একাউন্ট খুলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সুকুমার শাসক সুকান্ত সাহা বলেন, সাইবার ক্রাইম এ অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করুক। কারা এই কান্ড ঘটালো সেটা মানুষের সামনে আসা উচিত, ডায়মন্ড হারবার এর বাসিন্দা সমর ঘোষ বলেন,মহকুমা শাসকের নামে ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে যদি এভাবে টাকা চাইতে পারে, তাহলে সাধারন মানুষের ক্ষেত্রে কি যে হবে ভাবতেই পারছিনা। পুলিশের এক কর্তা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ফেক আইডিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোথা থেকে কারা কেন এই ফেক আইডি খুলে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা চাইছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।