বাগদীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর নিজের বাড়ি থেকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়

নিজস্ব সংবাদদাতা : গত তিন বছর আগে মারা যান স্বামী। তারপর একমাত্র ছেলে উজ্জ্বল বাগদীকে নিয়ে বসবাস করতেন বছর চল্লিশের সুন্দরী বাগদী। এরই মধ্যে সোমবার রাতে আশ্চর্যজনকভাবে সুন্দরী বাগদীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর নিজের বাড়ি থেকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের উলকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের বহড়া গ্রামে। মৃতার ছেলে উজ্জ্বল বাগদীই প্রথম দেখতে পান তার মা বাড়ির মধ্যে খাটের উপর অর্ধনগ্ন অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন। এরপর মা কে নাড়াচাড়া করতে বুঝতে পারেন তারমধ্যে আর প্রাণ নেই।উজ্জ্বল বাগদী জানিয়েছেন, “গতকাল রাত ৮ টা নাগাদ আমি পাশের গ্রামে গান শুনতে যাই। এরপর রাত দেড়টা নাগাদ বাড়ি ফিরে এসে দেখি বিছানায় পড়ে আছেন মা। আমার মনে হচ্ছে মাকে গলায় গামছা জড়িয়ে কেউ মেরে দিয়েছে।”ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃত ওই মহিলার দেওর সন্তোষ বাগদী জানিয়েছেন, “ভাইপো রাতে বাড়ি ফিরে এসে দেখতে পায় গোটা ঘর অন্ধকার। এরপর মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দেখে তার মা খাটের উপর উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সে তার সঙ্গে গান শুনতে যাওয়া বন্ধুকে ডাকে। তখনই বুঝতে পারা যায় মারা গিয়েছে তার মা।”ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই এলাকায় শুরু হয় শোরগোল। সেই চিৎকার চেঁচামেচি শুনে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা ছুটে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ময়ূরেশ্বর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়েছে। সুন্দরীদেবীর পরিবারের দাবি, পুলিশ যেন এই মৃত্যুর ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে এবং রহস্য উদ্ঘাটন করে। সেক্ষেত্রে যদি কেউ এই মৃত্যুর জন্য দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে তার যেন উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।