আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাগডোগরা এয়ারপোর্ট, সমস্যায় যাত্রীরা

উত্তরবঙ্গ: সমস্যায় যাত্রীরা।আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম ব্যাসত এয়ারপোর্ট বাগডোগরা এয়ারপোর্ট।করোনা আবহে এয়ারপোর্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।এই সময় এয়ারপোর্ট বন্ধ রাখায় প্রচণ্ড মুশকিলে পড়ে গেছেন পর্যটক এবং রোগীরা।এই সময় নানান জায়গা থেকে রোগী এবং তার আত্মীয়রা চিকিৎসা করাতে আসেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়।যারা বিশেষকরে বাগডোগরা এয়ারপোর্টের উপর নির্ভর করে।এয়ারপোর্ট বন্ধ হওয়ার কারনে প্রচুর রোগী এবং তার আত্মীয়রা আটকিয়ে গেছেন চিকিৎসা করাতে এসে।একেই করোনা আবহে হোটেলগুলির কাহিল অবস্থা,এর উপরে পর্যটকেরা আটকিয়ে অবস্থা আরো শোচনীয় করে তুলেছেন।সমস্যায় পড়ে গেছেন পর্যটকেরাও হাজার হাজার বুকিং করা পর্যটকদের এখন মাথায় হাত পড়ে গেছে।

    এই করোনা আবহে যেখানে কেউ কারো সাথেই দেখা করছেন না সেখানে পর্যটন মুখ থুবড়ে পড়বে এটাই তো সত্যি।এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেওয়ার ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে গাড়ির ব্যাবসাও।কোন গাড়িই ভাড়া পাচ্ছে না,ফলে সমস্ত গাড়ির মালিকের মাথায় হাত পড়ে গেছে।যেসব গাড়ি তাদের রোজগার এয়ারপোর্টের উপরে নির্ভর করত তারা এখন অথৈ জলে পড়ে গেছেন।এয়ারপোর্ট বন্ধ থাকবার নির্দেশে মুশকিলে পড়ে গেছেন বাগডোগরা বিমানবন্দরের অস্থায়ী কর্মচারীরা,কতৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে এয়ারপোর্ট বন্ধ থাকলে তাদেরকে বেতন দেওয়া হবে না।গোটা উত্তরবঙ্গের পর্যটন অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে সরকারের নির্দেশ আসার পরে।বর্তমান পরিস্থিতিতে অবস্থার উন্নতি না হলে পর্যটন শিল্প আরো খারাপ জায়গাতে পৌছে যাবে বলে মনে করছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা।গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় আশি শতাংশ হোটেল এবং টুরিষ্ট লজ বন্ধ হয়ে গেছে উত্তরবঙ্গে।যেগুলো খোলা আছে সেগুলোর অবস্থা প্রচণ্ড খারাপ, উত্তরবঙ্গের প্রায় তিরিশ শতাংশ মানুষ পর্যটন শিল্পের উপরে চলেন।গত কয়েক মাস ধরে প্রচণ্ড খারাপ জায়গাতে চলে গেছে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প,কাজ হারিয়েছেন পর্যটন দপ্তরের সাথে যুক্ত থাকা বহু মানুষ।এর উপরে সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য এয়ারপোর্ট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়াতে শঙ্কিত বহু কর্মজীবী মানুষ,যারা অনেকটাই নির্ভর করেন পর্যটন,হোটেল এবং গাড়ির উপরে।এখন যদি পরিস্থিতির পরিবর্তন যদি না হয় তবে ভবিষ্যতে যে এই সব কাজের সাথে যুক্ত মানুষের অবস্থা আরো খারাপ হবে এবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।