|
---|
বাবলু হাসান লস্কর কুলতলী দক্ষিণ ২৪ পরগনা,আবারো সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে গুরুতর জখম হলেন কুলতলীর মৈপিঠ কোস্টাল থানার নগেনাবাদের বাসিন্দার শুকদেব সাফুই ৫২। গত ২৯ শে নভেম্বর রায়দিঘি রেঞ্জের নলগোঁড়া বিট থেকে বৈধ পাস নিয়ে সুন্দরবনের ঠাকুরনি নদীর পার্সেমারি জঙ্গলে মাছ, কাঁকড়া ধরতে যান সুকদেব সাপুই, মনোরঞ্জন সাঁপুই, বিশ্বজিত মন্ডল, গনেশ মিদ্ধে বেশ কয়েকদিন কাঁকড়া ধরার পর গতকাল সকালে বিজোড় দ্বীপের কাছে তারা কাঁকড়া ধরার বেড়ি ফেলছিল। হঠাৎ সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার সুকদেব এর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, নৌকায় থাকা সহকর্মীরা তাদের কাছে থাকা লাঠি বাড়ি নিয়ে বাঘকে তাড়া করে, আর এতেই বাঘ সুকদেবকে ছেড়ে জঙ্গলে চলে যায়। সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা তাকে নিয়ে আসে স্থানীয় নগেনাবাদ গ্রামীণ চিকিৎসক গৌড় হরি শীট এর চিকিৎসা কেন্দ্র সেখান থেকে কলকাতার কলকাতার মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পরে ওখান থেকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যায়এই মুহূর্তে তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া ।একমাত্র রোজগেরএই অবস্থা হওয়ায় কিভাবে চলবে তাদের সংসার । বাড়িতে একমাত্র রোজগেরে শুকদেব তার স্ত্রী বাসন্তী সাঁপুই এক কন্যা বিবাহিত মালতি দুধ কুমার সাফুইও রাজ কুমার সাপুই অভাবের তাড়নায় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে কেরালায় কর্মরত,, বয়স এখনো পূর্ণ না হলেও সংসারের হাল ধরতে যেতে হয়েছে অন্য রাজ্যেএ নিয়ে স্থানীয় প্রতিবেশীরা এ বিষয়ে তারা কি জানালেন তা শুনে নেয়া যাক তাদের মুখ থেকে। এদিকে দীর্ঘদিন থেকে বাঘের আক্রমণের পরিবারের ক্ষতি পূরনের দাবি জানিয়ে আসছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। গত বছর ৩ অক্টোবর হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি সভ্যসাচী ভট্টাচার্য মহাশয়ের রায়ে সুন্দরবনের কোর ও বাফার এরিয়ার জটিলতা কাটিয়ে রায় দিয়েছিলেন বাঘের আক্রমণ আহত ও নিহত হলে ক্ষতি পূরন দিতে হবে। কিন্তু ২০২৪ ১৫+ আক্রান্ত ও ১০+ নিহত হলেও বনদপ্তর একজনের নিজেদের ইচ্ছায় ক্ষতি পূরন দেননি। পরিবারের একজনের রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী চাকরি পাননি। এপিডিআর পরিবারের পাশে আছে দাবি জানিয়েছে শুকদেব সাঁপুই এর সমস্ত চিকিৎসা খরচ ও বর্তমান সংসার চালানোর দায়িত্ব নিতে হবে।