ধান কেনার সহায়ক মূল্য নিয়ে নয়ছয়তেও যুক্ত বাকিবুর

দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: ধান কেনার সহায়ক মূল্য নিয়েও নয়ছয়! নিজের পরিচিতদের ‘কৃষক’ সাজিয়ে সেই টাকা পাইয়ে দেওয়া হতো। আর সেই অর্থ ঢুকত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের অ্যাকাউন্টে! ইডির জেরায় এমনই বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ীই। আর সেই তথ্যই শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করলেন ইডির তদন্তকারীরা। এদিন বাকিবুরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে ইডি হেফাজত থেকে জেল হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। ২২ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজত।

    শনিবার আদালতে রেশন দুর্নীতি মামলায় বাকিবুরকে পেশ করা হয়। সওয়াল-জবাবে ইডি আইনজীবীর জানান, কীভাবে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, তার তদন্ত করার জন্য ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখার প্রয়োজন। পাশাপাশি, তদন্তকারী আধিকারিক যাতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন সেই অনুমতির প্রয়োজন। তদন্তে চালকলের কেলেঙ্কারি বিষয়টি উঠে এসেছে। ১০৯ টি সরকারি স্ট্যাম্প পাওয়া গিয়েছে বাকিবুরের ডেরায় তল্লাশি চালিয়ে। এই তদন্তে নতুন ও বিস্ফোরক একটি তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি ইডির। যেখানে বাকিবুর জানিয়েছেন, নিজের পরিচিতদের কৃষক ‘সাজানো’ হয়েছিল। যেখানে কৃষকদের অ্যাকাউন্টের নাম করে নিজের পরিচিত ব্যক্তিদের কৃষক সাজিয়ে অ্যাকাউন্টে অর্থ লেনদেন করা হয়েছে।

    এছাড়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আরও একটি তথ্য ফাঁস করেছেন। বাকিবুরের দাবি, কোনও প্রমাণ ছাড়া বিনা সুদে ৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু কেন বাকিবুর এভাবে ঋণ দিলেন? সেই প্রশ্ন তুলেছে ইডি। তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানান ইডির আইনজীবী। ব্যাঙ্কশাল আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এরিনা চট্টোপাধ্যায় তাঁকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।