বালির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন রোধের কাজেও দেদার দুর্নীতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, অরঙ্গাবাদ : বালির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন রোধের কাজেও দেদার দুর্নীতি! বস্তা ভর্তি বালি নিয়ে গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার কথা থাকলেও নৌকায় করে আসা বস্তা গুলোতে অর্ধেকের চেয়ে কম থাকছে বালি! শুধু তাই নয়, বালির বদলে বস্তায় মাটি! আর যা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন সামশেরগঞ্জের পশ্চিম দেবিদাসপুর গ্রামের বাসিন্দারা। শনিবার বিকেলে গ্রাম বাসীদের দফায় দফায় বিক্ষোভ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। আটকে দেওয়া হয় বালি বোঝাই চারটি নৌকা। গ্রাম বাসীদের প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে পালিয়ে যান কন্ট্রাকটর। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের পর থেকে গঙ্গার ভয়াবহ ভাঙ্গনে বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্ত। ভাঙ্গন রোধে কাজ নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য টানাপোড়নের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙ্গন অধ্যুষিত এলাকার জন্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি টাকা বরাদ্দ করেন। সেই মোতাবেক বালির বস্তা দিয়ে শুরু হয় কাজ। সামশেরগঞ্জের চাচন্ড, লোহরপুর সিকদারপুর, দেবীদাসপুর সহ বিভিন্ন প্রান্তেই চলছে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ। কিন্তু এই কাজ নিয়ে প্রথম থেকেই কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা। প্রায় সব জায়গাতেই ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। শনিবার বিকেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কার্যত বিক্ষোভে সরব হন শামশেরগঞ্জের পশ্চিম দেবীদাসপুর গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শুধুমাত্র বস্তা গণনা করা হচ্ছে। প্রতিটি বস্তায় ৩৫ কেজির উপড়ে বালি আসার কথা থাকলেও অর্ধেকেরও কম করে নিয়ে আসা হচ্ছে বালি। ১৫ থেকে ১৬ কেজি করে বালি থাকছে সেই বস্তাগুলোতে। শুধু তাই নয়, কোন কোন বস্তায় বালির বদলে মাটি ভরে নিয়ে আসা হচ্ছে। বারবার কন্টাকটারকে অভিযোগ করেও কোনরকম কাজ হচ্ছে না বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। অবিলম্বে গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজে দুর্নীতি বন্ধ করে স্বচ্ছ ভাবে কাজ করার দাবিতে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ।