বালির জন্য চরম বিপাকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তারা

আজিজুর রহমান, গলসি : বালির জন্য চরম বিপাকে পরেছেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের বহু উপভোক্তা। তাদের দাবী, ৯৮ সিএফটি বালি না পাওয়ায় তারা সরকারের দেওয়া টাকায় বাড়ি সম্পুর্ন করতে পারবেন না। জানা গেছে, ৯৮ সিএফটি বালি পরিবহন করার জন্য গ্রামের রাস্তায় সচরাচর ট্রাক্টর চলাচল করে। আর ট্রাক্টরে বালি কিনতে চাইলে তারা পাচ্ছেন না। ফলে তাদের চড়া দামে বালি কিনতে হচ্ছে, যা অনেকের পক্ষে অসম্ভব। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতার দাবী জানিয়েছেন বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তা সহ স্থানীয়রা।

    স্থানীয়রা জানান, জেলা সহ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের রাস্তা বর্তমানে সরকার ঢালাই করে দিয়েছে। সেই সমস্ত রাস্তার ঢালাই ফেটে যাবার ভয়ে ছয়চাকা, দশচাকা ও বারোচাকা গাড়ি ঢোকানো নিষিদ্ধ। তাছাড়াও গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন স্থানে সরু রাস্তা হওয়ায় ওসব গাড়ি করে বালি পরিবহন করার সমস্যা রয়েছে। ফলে এলাকায় বালির আকাল দেখা দিয়েছে। এমনকি সরকারি কাজে ঠিকাদারদের বালি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

    তারা বলেন, ট্রাক্টরে সরকারি রাজস্ব দেওয়া চালানে বালি না মেলায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ট্রাক্টরে করে নদী থেকে বালি চুরি শুরু করেছে। পুলিশ ও বিএলআরও গাড়ি ধরে কেস দিচ্ছে, যার ফলে মানুষের মধ্যে একদিকে যেমন ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে একটলি বালির দাম ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা হয়ে গেছে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে সরকারি রাজস্বের। তারা আরও বলেন, কখনও কখনও পুলিশ অভিযান চালালে ট্রাক্টরগুলি রাস্তায় বালি ফেলে গ্রামের ভিতরে ঢুকে চম্পট দিচ্ছে। ফলে এলাকায় দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ছে।

    জানা গেছে, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে রাজ্য সরকার ১,২০,০০০/- আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে। যাতে বালির জন্য বরাদ্দ কমবেশি ২০০০ টাকা। বহু উপভোক্তার দাবী, ওই টাকায় ছয় চাকা দশচাকা গাড়ি করে বালি কেনা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকরা। তাদের দাবী, সরকার ট্রাক্টরে চালান দিয়ে বালি পরিবহন করার অনুমতি দিক। এতে করে একদিকে যেমন বালি চুরি বন্ধ হবে, অন্যদিকে সরকারেরও রাজস্ব আদায় হবে।