রামপুরহাট থেকে তারাপীঠ সম্প্রীতির মিছিলে পা মেলালো বামেরা

মহম্মদ রিপন,নতুন গতি :

    1992 সালের 6 ই ডিসেম্বর সারাদেশ জুড়ে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনটিকে সম্প্রীতি দিবস হিসাবে পালন করে বীরভূম জেলা বামেরা। তার কিছুদিনের মাথায় দিন যেতে না যেতে তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট এর পাঁচ মাথা পর্যন্ত সম্প্রীতি মিছিলে হাঁটল বামেরা। বীরভূম জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক সদস্য সৈয়দ ইব্রাহিম হিমেল বাবুর কথায় প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ আমাদের ডাকে তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট সম্প্রীতির মিছিলে পা মেলান। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে ভেঙে পড়া ভারতবর্ষের রাজনৈতিক দুরবস্থা কে চাঙ্গা করতে এবং সারাদেশ জুড়ে মানুষকে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতেই হাজির হয়েছিল এই সমাবেশে।

    সোমবার বামেদের ডাকে তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত মহামিছিলে অংশ নেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী, সিপিআই(এম) নেতা রামচন্দ্র ডোম, ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্ব। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী মিছিলে বলেন ভারতবর্ষের তখনই সম্প্রীতি মিছিল এর প্রয়োজন হয় যখন দেশ ভুল পথে চালিত হয়।দেশে রাজনৈতিক দিক থেকে ধর্মীয় দিক টাকে উস্কে দিয়ে ভোটব্যাঙ্কের কথা ভাবা হয়। বামেরা কখনোই ধর্মের রাজনীতি করেনি আর ধর্মের রাজনীতি কে কখনোই প্রশ্রয় দেয়নি আমরা ছাড়া ভারতবর্ষজুড়ে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতেই আজকের মিছিলের পদযাত্রায় অংশ নিয়েছি। সৈয়দ ইব্রাহিম হিমেল বাবুর কথাই আমরা মিছিলে বিরিয়ানির প্যাকেট রাখিনি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির মত মিছিল অংশগ্রহণের জন্য আরো 300 টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ও দিইনি মানুষের ভালবাসা ও আশ্বাস বামেদের উপর আছে বলেই তারা আজ সম্প্রীতির মিছিলে পা মিলিয়েছেন। আমরা কৃষকদের জন্য লড়ে যাব আমরা বেকারত্বে ভোগা যুবকদের জন্য লড়ে যাব আমরা সমাজের শোষিত লাঞ্চিত মানুষগুলোর জন্য লড়ে যাব।