|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বাজারে গেলে দোকানদাররা যে কোনও খাদ্যপণ্য দেওয়ার জন্য সাধারণত পাতলা পলিথিনের ক্যারি ব্যাগ ব্যবহার করে থাকেন। সব ধরনের খাবার পলিথিনের ক্যারি ব্যাগে ভরে তবেই ক্রেতাদের হাতে তুলে দেন তাঁরা। তাছাড়া বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের প্যাকেট হিসেবেও প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, ঘরোয়া বিভিন্ন কাজেও পলিথিনের ব্যবহারে অভ্যস্ত সাধারণ মানুষ। তবে পরিবেশবিদরা নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে, পলিথিনের ক্যারি ব্যাগগুলো পচনশীল পদার্থ না-হওয়ার কারণে সেটি কোনওদিনও নষ্ট হয় না। প্লাস্টিকের বর্জ্য মাটিতে না-মিশে রসায়নিক বিক্রিয়া হওয়ায়, পরিবেশের বিস্তর ক্ষতি হচ্ছে। এবার এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী বছর থেকে দেশজুড়ে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে চলেছে কেন্দ্র।
২০২১ সালের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংশোধনী আইন অনুয়ায়ী, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে পলিথিন তৈরি, আমদানি, মজুত, বিতরণ, বিক্রি ছাড়াও পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। নিষিদ্ধের তালিকার মধ্য রয়েছে, প্লাস্টিকের কাঠি, কান পরিষ্কার করার কাঠি, বেলুনের জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের কাঠি, প্লাস্টিকের তৈরি পতাকা, ক্যান্ডি বা ললিপপের কাঠি, আইসক্রিমের কাঠি, প্রসাধনের জন্য পলিস্টারিন, প্লেট, কাপ, চশমা, প্লাস্টিকের কাঁটা চামচ, ছুরি, খড়, ট্রে, প্যাকিং ফিল্ম, মিষ্টির বাক্স, নিমন্ত্রণ কার্ড, সিগারেটের প্যাকেট বা ১০০ মাইক্রনের কম চওড়া পিভিসি ব্যানার ইত্যাদি। তবে নিষিদ্ধ এই সামগ্রীর তালিকার অধিকাংশ বস্তুর কোনও বিকল্প এখনও বাজারে সেভাবে আসেনি। ২০১৯ সালে চতুর্থ জাতিসংঘের পরিবেশ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে ২০২২ সালের মধ্যে প্লাস্টিক পণ্যে দূষণের মোকাবিলা করতে দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার রুখতে প্রস্তাব পেশ করা হয়।
পরিবেশ মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে পলিথিনের ক্যারি ব্যাগের ঘনত্ব ৫০ মাইক্রন থেকে বাড়িয়ে ৭৫ ও ১২০ মাইক্রন করা হয়েছে। যাতে প্লাস্টিকের পুরুত্ব বৃদ্ধি হয়ে বহন ক্ষমতা বাড়ে। তাছাড়া সেগুলো পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে।