ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্টের দাবিতে স্বাধীনতা দিবসের পুণ্য লগ্নে বাংলা পক্ষর মহামিছিল

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাঙালির রক্তে স্বাধীন হয়েছে আমাদের ভারত বর্ষ। আন্দামানের স্যেলুলার জেলের প্রতিটা ইঁটে বাঙালির রক্তের দাগ লেগে আছে। বীর সুভাষ চন্দ্র বসু থেকে মাতঙ্গিনী হাজরা, বিনয়-বাদল-দিনেশ থেকে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কানাইলাল ভট্টাচার্য থেকে ক্ষুদিরাম বসু- বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শহীদের সংখ্যা গুণে শেষ করা যাবে না। আজাদ হিন্দ ফৌজ বাঙালি রাসবিহারী বসু ও সুভাষ চন্দ্র বসুর তৈরি, যা ব্রিটিশের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু অন্যান্য নানা জাতি ও প্রদেশের রেজিমেন্ট ( গোর্খ্যা রেজিমেন্ট, নাগা রেজিমেন্ট, মাদ্রাস রেজিমেন্ট, রাজপুত রেজিমেন্ট, বিহার রেজিমেন্ট, আসাম রাইফেলস ইত্যাদি) থাকলেও স্বাধীন ভারতের সেনায় বাঙালি রেজিমেন্ট নেই। এটা অত্যন্ত দুঃখের৷ গত বছর সেনাবাহিনীতে বাঙালি রেজিমেন্টের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল বাংলা পক্ষ। কিন্তু এখনও বাঙালি রেজিমেন্ট তৈরি হয়নি৷

    আজ ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের পুণ্যলগ্নে উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে বারাসাত চাঁপাডালি মোড় পর্যন্ত মহামিছিল করল ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্টের দাবিতে। মিছিল থেকে দুটো স্পষ্ট দাবি ওঠে-

    ১. ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্ট চাই

    ২. ভারতীয় সেনায় চাকরির পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ চাই।

     

    মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। মিছিলে ছিলেন শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অমিত সেন, উত্তর চব্বিশ পরগনা শহরাঞ্চলের জেলা সম্পাদক পিন্টু রায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা গ্রামীনের জেলা সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার, উত্তর চব্বিশ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক মামুদ আলি মন্ডল মণ্ডল সহ শয়ে শয়ে সহযোদ্ধা ও সমর্থক।

    গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পরাধীন ভারতকে স্বাধীন করতে যখন বন্দুক ধরতে মাইনে পাওয়া যেত না, তখন বাঙালি এগিয়ে গিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল। এখন স্বাধীন ভারতের সেনাবাহিনীতে বাঙালি রেজিমেন্ট নেই। আমাদের স্পষ্ট দাবি ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্ট চাই। সুভাষ চন্দ্র বসুর মাতৃভাষায় সেনাবাহিনীর চাকরির পরীক্ষা চাই। ১৯৪৭ এর ১৫ ই আগস্টের স্বপ্নের বাস্তবায়ন চাই, ভারতে বাঙালির সমানাধিকার চাই।”

     

    কৌশিক মাইতি বলেন, “আমাদের লড়াই চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আগের বছর চিঠি দিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু ভারতীয় সেনায় এখনও বাঙালি রেজিমেন্ট হয়নি। আমরা মহামিছিল করলাম আজ। প্রতিটা বাঙালি ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্ট চায়। আমরা চাই বাংলা থেকে নির্বাচিত সাংসদরা ভারতের সংসদে বাঙালি রেজিমেন্টের দাবিতে সোচ্চার হোক।”