বিজেপির বাংলা ভাগের চক্রান্ত এবং বাঙালির উপর হিন্দি চাপানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সোনারপুরে বাংলা পক্ষর মিছিল ও সভা

নতুন গতি প্রতিবেদক : রবিবার (২২শে জানুয়ারি), সকাল ১১:৩০মিনিটে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বাংলা পক্ষ আয়োজন করেছিল একটি মহা মিছিল ও সমাবেশের। উপস্থিত ছিলেন পুরো জেলা থেকে আসা সাধারণ সহযোদ্ধাদের সঙ্গে বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক অভিষেক মিত্র মজুমদার,উত্তর চব্বিশ পরগনা শহরাঞ্চল জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, হাওড়া গ্রামীণ জেলার সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার, এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোষাধ্যক্ষ কুষ্ণাভ মন্ডল ও জেলা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

    মিছিল চলাকালী পুরো সোনারপুর অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এক অভূতপূর্ব সারা পাওয়া গেছে।কেন্দ্রের বিজেপি শাসিত সরকারের দ্বারা বাংলাকে ভাগ করবার চক্রান্তের বিরুদ্ধে এবং সারা ভারতে হিন্দি কে একমাত্র ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এই মিছিল সোনারপুর গোরখাড়া বিদ্যামন্দির থেকে শুরু হয়ে সোনারপুর-রাজপুর অটোস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

    সভায় সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলা ও বাঙালির শত্রু হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপি বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে। আজ বাঙালির সুভাষ দিবসের প্রাক্কালে বলতে চাই, রক্ত দেব, কিন্তু বাংলা ভাগ করতে দেব না৷ পাহাড় থেকে মোহনা আমরা লড়ছি, মিছিল করছি৷ আজ সোনারপুরে বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে মিছিল হল। এছাড়া বলতে চাই, মেটিয়াবুরুজ, মল্লিকপুর, মহেশতলা, রানিয়া, ব্রহ্মপুর, নয়াবাদ সহ জেলার নানা প্রান্তে বহিরাগত দখলদারদের সংখ্যা বাড়ছে। বাঙালি প্রতিরোধের জন্য জাগছে, বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে এবার সবকিছু পুনরুদ্ধার হবে।”

    ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “বাংলায় হিন্দি আগ্রাসন মানবো না। আমরা বাংলা ভাষা ও বাঙালির স্বার্থে লড়বো। ইংরেজি ও বাংলা দুটো ভাষা বাঙালিকে ভালো করে শিখতে হবে। গত পাঁচ বছরে বাংলা পক্ষ অনবরত লড়াই করে চলেছে। আগামীতে বাংলা পক্ষর পতাকা প্রতিটা বাঙালির বাড়িতে উড়বে। ”

    জেলা সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী বলেন, “আজ জেলা সংগঠনের ঐতিহাসিক দিন। আজ সোনারপুরে যে মিছিল হল, তাতে স্থানীয় বাঙালির যে স্বতস্ফূর্ততা দেখলাম, তাতে আমরা শক্তি পেলাম। আগামীতে জেলা জুড়ে বাঙালির অধিকারের লড়াই ছড়িয়ে পড়বে। বাঙালি গর্জন করবে। আমরা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাঙালিকে বলতে চাই, কলকাতার ফুটপাত থেকে বড়বাজার, ঠিকা কাজ থেকে আইটি চাকরি সব বাঙালিকে দখল করতে হবে।”