| |
|---|
নুরউদ্দিন: দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদারের প্রশ্নে কার্যত স্বীকার করে নিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, যে পশ্চিমবঙ্গের স্কুল পরিকাঠামো উন্নয়নে এবং কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে (SSA ও PM-SHRI) রাজ্যের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রী জানান:২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে কোনও নতুন SSA বা PM-SHRI প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলির উন্নয়নের জন্য কোনও বিশেষ অর্থ বরাদ্দ বা বিবেচনা করা হয়নি। রাজ্যে স্কুল পরিকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি সুবিধা সম্প্রসারণে অন্য রাজ্যের তুলনায় স্পষ্টভাবে অবহেলা করা হয়েছে। এছাড়া, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য PM-SHRI প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের নাম বিবেচনায়ই আনা হয়নি, যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সুরে প্রশ্ন তোলেন সাংসদ বাপি হালদার।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার NEP 2020 পুরোপুরি কার্যকর না করায় PM-SHRI প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় MOU সই হয়নি। এই যুক্তির মাধ্যমে কার্যত মন্ত্রী স্বীকার করে নেন, রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে বাংলার শিক্ষাক্ষেত্র কেন্দ্রীয়ভাবে বঞ্চনার শিকার।
সাংসদ বাপি হালদার বলেন, একদিকে ‘সবার জন্য শিক্ষা’ বলছে কেন্দ্র, অন্যদিকে বাংলা-সহ কিছু রাজ্যকে বাদ দিয়ে দিচ্ছে একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে। এটা শুধু বৈষম্য নয়, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।”
প্রসঙ্গত,বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা যখন পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছে, তখন এই ধরনের বঞ্চনা রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের জেরে আবারও একবার বঞ্চনার শিকার বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা।


